৭৫-এও প্রেমের কথা বলেছিলেন। সমাজমাধ্যম তার সাক্ষী। প্রেমের মাস ফেব্রুয়ারিতে আনন্দবাজার ডট কমকে জানিয়েছিলেন, প্রেমে আছেন তিনি। ভালবাসা তাঁকে ছেড়ে যায়নি। প্রেমিকার নিঃশব্দ আনাগোনা তাঁকে সজীব রেখেছে। মাস ঘুরতেই ‘কবিয়াল’-এর সমাজমাধ্যমে মৃত্যুচিন্তার আভাস! ১৬ মার্চ তাঁর জন্মদিন। তার আগে বুধবার তিনি লিখলেন, “কিছু কাল আগে এই ফেসবুকেই ঘোষণা করেছিলাম— আমি আমার দেহ দান করেছি, কোনও ধর্মীয় শেষকৃত্য আমি চাই না। অনেক ভেবে আমি সেই সিদ্ধান্ত পাল্টালাম। দেহদানের ইচ্ছে প্রত্যাহার করছি আমি। আমার দেহ আমি দান করব না। আমি চাই আমায় এই কলকাতারই মাটিতে, সম্ভব হলে গোবরায়, ইসলামী রীতিতে কবর দেওয়া হোক। এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।” (শিল্পীর ফেসবুক পোস্টের লেখা অপরিবর্তিত রাখা হল)
জন্ম মাসে হঠাৎ কেন মৃত্যুচিন্তা ‘তোমাকে চাই’ গায়কের? যাঁর গান আজও ভরসা জোগায় সদ্য প্রেমে পড়া যুগলদের। গায়ককে প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। শিল্পী চেনা ভঙ্গিতেই চাঁচাছোলা। বলেছেন, “আমার দেহ, আমার ইচ্ছে, আমার সিদ্ধান্ত! ২০২১-এ ঠিক করেছিলাম মরণোত্তর দেহদান করব। এখন মনে হচ্ছে, দরিদ্র মুসলিমদের মতোই গোবরায় আমার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। মাটির বিছানায় শেষ ঘুম ঘুমোব।” পাল্টা প্রশ্নও রাখেন, “এই নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন? ”
জীবনের গান যাঁর কণ্ঠে তিনি যদি মৃত্যুর কথা বলেন, অনুরাগীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ কথা শোনার পর ঈষৎ কোমল তাঁর কণ্ঠ। কবীর সুমন বললেন, “বয়স বাড়ছে, বাড়ছে অসুস্থতাও। যে কোনও সময় মৃত্যু আসবে। তাই আগাম জানিয়ে রাখলাম।” সামনেই ইদ। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ নিয়মমাফিক রোজা রাখছেন। কথা তুলতেই গায়কের মত, “আমি রোজা রাখিনি। নানা অসুস্থতায় কাবু আমি। রোজা রাখলে হয়তো আরও অসুস্থ হয়ে পড়ব।” তাঁর দাবি, কোরানে অসুস্থদের রোজা না রাখার নির্দেশ রয়েছে। তিনি সেই নির্দেশ পালন করছেন মাত্র।