‘মিঠাই’ ওরফে সৌমিতৃষা কুন্ডু!
‘শ্যুট ফ্রম হোম’-এর শেষ দিন অর্থাৎ সোমবার হাত কেটে রক্তারক্তি কাণ্ড জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের ‘মিঠাই’ ওরফে সৌমিতৃষা কুন্ডুর! আনন্দবাজার ডিজিটালকে তেমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। শুধু তাই-ই নয়, কিছুতেই নাকি রক্ত বন্ধ হচ্ছিল না তাঁর! এ দিকে ১৬ জুন থেকে খুলে যাচ্ছে স্টুডিয়োর দরজা। আবার ধারাবাহিকের শ্যুটিং হবে আগের নিয়মে। তার আগে এই অঘটনে মাথায় হাত অভিনেত্রীর পরিবারের সবার।
কী করে ঘটল এই অঘটন? পুরোটাই চিত্রনাট্যের খাতিরে, ফাঁস অভিনেত্রীর। যদিও ধারাবাহিকের আগামী পর্বের গল্প সম্বন্ধে কিচ্ছু জানাননি তিনি। তবে নকল রক্ত বানাতে গিয়ে তাঁকে নাকি প্রচুর খাটতে হয়েছে। মধু, আয়রন টনিক আর সিঁদুর দিয়ে বানাতে হয়েছে সত্যিকারের রক্ত! ‘‘ভেবেছিলাম টমেটো সসও দেব। পরে মনে হল, ওটা দিলে বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। তাই আর সস মেশাইনি,’’ জানিয়েছেন সৌমিতৃষা। স্বীকার করেছেন, এ ভাবে শ্যুটিং করা প্রচণ্ড ঝক্কির।
বাড়ি থেকে শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে আরও ঘটনা তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। যেমন, ‘লকডাউন হুল্লোড়’ পর্বের শ্যুটিংয়ে ১ ঘণ্টায় নাচ তুলে শ্যুটিং করে পাঠাতে হয়েছিল তাঁকে। বাস্তবে ‘মিঠাই’ তখন ঋতুমতী। পেটে প্রচণ্ড ব্যথা। শরীর জুড়ে অস্বস্তি। সেই নিয়েই তিনি নাচ তোলেন, শ্যুটিং করেন। পুরো পর্ব জমা দেন। বারাসতের মেয়ে সৌমিতৃষা লকডাউনেও কলকাতা ছেড়ে বাড়ি যেতে পারেননি শ্যুটিংয়ের কারণে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘প্রতি পর্বের জন্য খুব কষ্ট করেছি আমরা সবাই। নিজেই নিজের মেকআপ করতাম। আলো কম। মুঠোফোন আর ঘরের আলোতেই শ্যুট করতে হত। সংলাপ বলার সময় অন্য শব্দ যাতে ঢুকে না পড়ে, তার জন্য পাখা, এসি কিচ্ছু চালাতাম না। দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখতাম।’’ তার ফলে গরমে ভীষণ কষ্টও হত। অনেক দৃশ্যেই তাই দেখা গিয়েছে গরমে ঘেমে যাওয়া ‘মিঠাই’কে, অকপটে জানিয়েছেন সৌমিতৃষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy