কাঞ্চন-শ্রীময়ী। ছবি: সংগৃহীত।
বিবাহিত কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজ। শনিবার রাতে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন তাঁরা। খাঁটি বাঙালি রীতি মেনেই হয়েছে বিয়ে। কাঞ্চনের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে শ্রীময়ী বদলে ফেলেছেন পদবি। নিজেকে বার কয়েক ‘মিসেস মল্লিক’ বলে সম্বোধনও করছেন। এই মুহূর্তে বিধায়ক-অভিনেতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটেই সংসার পেতেছেন তাঁরা। রবিবার ছিল কালরাত্রি, সোমবার বৌভাত ও ফুলশয্যা। সকালে ছিল ভাত-কাপড়ের অনুষ্ঠান। আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্রীময়ী বলেন, ‘‘কাঞ্চন আমাকে তো কিছুই করতে দিচ্ছে না, একটু চা-ও বানাতে দিচ্ছে না। বলছে, শুধু বিশ্রাম নাও, আর মুগ্ধ হয়ে দেখছে।’’ কিন্তু বিয়ের পর স্বামীর থেকে কী উপহার পেলেন তিনি, নতুন জীবন কেমন লাগছে শ্রীময়ীর?
৬ মার্চ কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রিসেপশনের অনুষ্ঠান। এই মুহূর্তে নতুন স্ত্রীকেই গোটা সময়টা দিচ্ছেন বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন। স্ত্রীকে শুধুই আরাম করার পরমার্শ দিয়েছেন। শ্রীময়ীর কথায়, ‘‘আমাকে ও এবং ওর দাদা-বৌদি কেউই কোনও কাজ করতে দিচ্ছে না। তবে সোমবার ঘরোয়া বৌভাত, খানিক জোর করেই বলেছি, রাতে মাংস রান্না করব ও মটন বিরিয়ানি হবে।’’ রবিবার কালরাত্রি। পরের সকালটা কেমন ছিল? শ্রীময়ীর কথায়, ‘‘আমাদের কালরাত্রি ছিল, তবে কথা বন্ধ হয়নি। পাশের ঘরে ভিডিয়ো কলে ক্যামেরা বন্ধ করে কথা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টায় উঠেছি। আমাকে মুগ্ধ হয়ে দেখছে আর কাঞ্চন বলছে, ‘বিয়ের পর তোকে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে’। আসলে, বিয়ের আগে তো প্রেমটা করিনি, আমরা সব সময় আলোচনা করতাম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এখন প্রেম করার সুযোগ পাচ্ছি।’’ শুধুই যে সারা দিন স্ত্রীকে নয়ন মেলে দেখছেন, তেমনটা নয়, স্বামীর দায়িত্ব-কর্তব্যও পালন করছেন কাঞ্চন। বিয়ের পর সোনার নোয়াবাঁধানো ও সোনার চেন দিয়েছেন স্ত্রীকে। আপাতত ৬ তারিখের অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি মল্লিকবাড়িতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy