সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও অনীক দত্ত। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সম্প্রতি, প্রকাশ্যে এসেছে ‘পদাতিক’-এর ট্রেলার। সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত মৃণাল সেনের বায়োপিকের প্রথম ঝলক দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মৃণালের চরিত্রাভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী এই ছবির ভরকেন্দ্র। তবে একই সঙ্গে আরও একটি বিষয় নিয়ে সমাজমাধ্যমে চর্চা শুরু হয়েছে।
মৃণাল সেন এবং সত্যজিৎ রায় নাম দু’টি বাঙালি জীবনে প্রায়শই একত্রে উচ্চারিত হয়। তাই মৃণালের জীবনের কথা বলতে হলে অনিবার্য ভাবে চলে আসেন সমসাময়িক সত্যজিৎ। ছবির ট্রেলারের শুরুতেই দেখা যাচ্ছে বিদেশে ‘পথের পাঁচালী’ প্রশংসিত হওয়ার দৃশ্য। একই সঙ্গে সেখানে সত্যজিতের ঝলকও মিলেছে। সেই চরিত্রে দেখা যাচ্ছে জীতু কমলকে। সমাজমাধ্যমে অনেকেই দাবি করেছেন, দৃশ্যগুলি অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ ছবি থেকে নেওয়া হয়েছে। কারণ, অনীকের ছবিতে সত্যজিতের চরিত্রে জীতুই অভিনয় করেছিলেন। সেই ছবিতে ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির নেপথ্য কাহিনি তুলে ধরা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, এই দুই ছবিরই প্রযোজক ফিরদৌসুল হাসান। তাই, আইনের দিক থেকে এই ধরনের দৃশ্য ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এখন প্রশ্ন হল, অনীক কি বিষয়টা জানেন? তিনি কি এই ছবির ট্রেলার দেখেছেন?
এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে অনীকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানালেন, সৃজিত নিজেই তাঁকে ‘পদাতিক’-এর ট্রেলার পাঠিয়েছেন। ছবিতে যে ‘অপরাজিত’র কিছু দৃশ্য ব্যবহার করা হয়েছে, সে কথাও স্বীকার করে নিলেন অনীক। পরিচালক বললেন, ‘‘ট্রেলার আমার বেশ ভালই লেগেছে। আমার ছবির সত্যজিতের জন্য ওদের কাজটা যে অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছে, সে কথাও ওরা আমাকে জানিয়েছে।’’
সৃজিতের সঙ্গে অনীকের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। বিশেষ করে ফিরদৌসুলের সঙ্গে একাধিক ছবি করেছেন অনীক। তিনি বললেন, ‘‘ফিরদৌসুলের সঙ্গে আমি পর পর ছবি করেছি। সৃজিত নিজে থেকে ‘আপরাজিত’র স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ে এসেছিল। আমাদের দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব।’’ কিন্তু, দৃশ্যগুলি ব্যবহারের বিষয়টা কি তিনি শুরু থেকেই জানতেন? অনীক বললেন, ‘‘আমি জানতাম না। তাই শুরুতে একটু অবাক হয়েছিলাম। জানলে আমি তো বাধা দিতাম না! আমাকে আগে জানালে আমি খুশি হতাম।’’
এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে ফিরদৌসুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সমস্যার কোনও কারণ নেই। কারণ দুটো ছবির স্বত্ব আমাদের কাছে আছে।’’ এরই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ছবিটার অনেক দিন ধরে শুটিং চলছে। অনীকদাকে অনেক আগে আমি এক বার বিষয়টা জানিয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে এটা নিয়ে কথা হয়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy