‘থালাইভি’ ট্রেলারের দৃশ্য
প্রথম ঝলকেই টুইটারে ট্রেন্ডিং ‘থালাইভি’, হিন্দিকে ছাপিয়ে গেল তামিল। নেটমাধ্যমে জ্বলজ্বল করছে, হ্যাশট্যাগ ‘থালাইভি ট্রেলার’। ‘অম্মা’ জয়ললিতার ভূমিকায় দেখা গেল কঙ্গনা রানাউতকে। তামিল ও হিন্দি, দুই ভাষাতেই মুক্তি পেয়েছে সেই ভিডিয়ো। হিন্দির চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হল তামিল সংস্করণই।
দু’টি ভাষার ভিডিয়ো এক রকম নয়। সম্পাদনায় রয়েছে পার্থক্য। হিন্দি ট্রেলারটি কঙ্গনা সর্বস্ব। তামিল সংস্করণে গুরুত্ব পেয়েছে অরবিন্দ স্বামীর ভূমিকাও। অভিনেতা এম জি রামচন্দ্রণের ভূমিকায় অভিনয় করছেন অরবিন্দ স্বামী। এমজিআর ও জয়ললিতার সম্পর্কের সমীকরণের আধিক্য রয়েছে তামিল ট্রেলারে। নিজেদের মাটির গল্প, নিজেদের জননেত্রীর জীবনযুদ্ধ বলেই কি তামিল ভিডিয়োটি বেশি জনপ্রিয়তা পেল? তা নিয়েও চর্চা চলছে নেটমাধ্যমে।
রুপোলি পর্দা থেকে রাজনীতি— ২০২১ সালের বঙ্গ রাজনীতির দিকে তাকালে মনে হবে, এ আবার এমন কী! কিন্তু ১৯৬০-এর দশকে চিত্রটা এ রকম ছিল না। প্রয়াত জননেত্রী ও অভিনেত্রী জয়ললিতার চরিত্রটি যে জীবন্ত করে তুললেন কঙ্গনা। মঙ্গলবার ৩৪-এ পা দিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।
তামিল ছবির অতি জনপ্রিয় তারকা ছিলেন জয়ললিতা। সেখান থেকে রাজনীতিতে পা। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ক্ষমতার আসনে এক নারীর উত্থান সহজ ছিল না। অভিযোগ, ১৯৮৯ সালে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে হেনস্থাও হতে হয়েছিল তাঁকে। একটি দলের বিধায়কেরা তাঁর শাড়ির আঁচল টেনে ধরেছিলেন বলেও শোনা যায়। তা-ও জয়ললিতার যুদ্ধ থামেনি। মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৬ দফায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁদের প্রিয় আম্মা।
হিন্দি হোক বা তামিল, জয়ললিতার জীবন কাহিনি দেখে উত্তেজিত নেটাগরিকেরা। কেবল তা-ই নয়, একই ছবিতে কঙ্গনার নানা চেহারা দেখে মুগ্ধ তাঁরা। বহু দিন ধরেই আলোচালর কেন্দ্রে ছিল এই ছবিতে কঙ্গনার চেহারা। ওজন বাড়ানোর পরে তাঁর লুক, ওজন কমানোর পরের চেহারা— বহু মানুষের শরীরচর্চার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ট্রেলার দেখার পরে সেই আলোচনা আবার ফিরে এল নেটমাধ্যমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy