তৃণা সাহা।
শিবরাত্রি চলে গিয়েছে। ছোট পর্দায় তার রেশ রয়ে গিয়েছে। শাশুড়ি, ছোট মা, বড় জা মিষ্টি, ননদ চিনিকে নিয়ে গুনগুন মন্দিরে। সেও ব্রত পালন করছে সৌজন্যের জন্য। সকাল থেকে উপোস। সন্ধেয় লাল পাড়, সাদা শাড়িতে সেজে পুজোর থালা হাতে জল ঢালতে সে পৌঁছে গিয়েছে শিবমন্দিরে। সেখানেই মেয়েরা যখন লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে তখনই ‘পুষ্পা’-র জনপ্রিয় ‘সামে’ গানের সঙ্গে তুমুল নেচে উঠল সে!
এ দিকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কোনও রকম বেনিয়ম করছে কিনা দেখতে হাজির সৌজন্য। গুনগুনের নাচ দেখে চোখ কপালে তার। সৌজন্যকে দেখে গুনগুনকে সাবধান করতে এগিয়ে আসে তার বড় জা। কিন্তু ছোট জায়ের পাল্লায় পড়ে সেও নাচতে শুরু করে! আপাতত ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’র এই অংশ ভাইরাল। ‘গুনগুন’ ওরফে তৃণা সাহা নাচে পারদর্শী। ফলে, জনপ্রিয় গানের সঙ্গে তাঁর নাচ দর্শকেরা উপভোগ করেছেন।
বিয়ের পর এ বছর তৃণার প্রথম শিবরাত্রি। বাস্তবে ওই দিন কী করেছিলেন তৃণা? তিনিও কি উপোস করেছিলেন? আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘‘গুনগুনের মতো আমিও উপোস করেছিলাম সারা দিন। ওই অবস্থাতেই শ্যুট করেছি। তবে ওই দিন ‘সামে’ গানের সঙ্গে নাচের দৃশ্য শ্যুট হয়নি।’’ সারা দিন শ্যুটের পরে সন্ধেয় বাড়ি ফিরে জল ঢালেন দেবতার মাথায়। যেহেতু এ দিন ভাত বা রুটি খাওয়া বারণ তাই নিয়ম মেনে উপোস ভাঙেন তরকারি খেয়ে। ঈশ্বরের কাছে স্বামী নীল ভট্টাচার্যের জন্য কী প্রার্থনা ছিল? ‘‘নীল যেন সুস্থ থাকে। পেশাজীবনে আরও উন্নতি করে। আর আমায় যেন আরও ভালবাসে। আরও বেশি করে চোখে হারায়’’, হাসতে হাসতে স্বীকার করেছেন পর্দার ‘গুনগুন’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy