বরুণকে নারীবিদ্বেষী বলে গালি দিয়েছেন কিয়ারা!
‘যুগ যুগ জিয়ো’-তে প্রথম বার একসঙ্গে কাজ করেছেন দু’জনে। বরুণ ধবন আর কিয়ারা আডবাণী। পর্দায় তাঁদের রসায়নও ধরা দিয়েছে দুর্দান্ত! এ দিকে নেপথ্যে যে কত ব্যথা, তা জানেন কেবল সহকর্মীরাই! পরিচালক রাজ মেহতার এই ছবি জুড়ে দাম্পত্যজীবন এবং পারিবারিক সম্পর্কের কাহিনি। গল্পে এক দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা তারা বাবা-মাকে বলতে পারছিল না। সে নিয়েই হাসি-মজায় মোড়া ছবি ‘যুগ যুগ জিয়ো’।
ছবির সেটেও মাতিয়ে রেখেছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা অনিল কপূর। নির্মাতারা বলেছিলেন, সপরিবারে দেখার মতো বিনোদন দিতে চলেছে এই ছবি। কিন্তু শুধুই কি হাসিঠাট্টা? রাগ-ঝগড়া নেই? গোটা ইউনিট বলছে, সে দিকটা নাকি সেটেই পুষিয়ে দিয়েছেন নায়ক-নায়িকা বরুণ আর কিয়ারা! গত ২৪ জুন মুক্তি পেয়েছে ‘যুগ যুগ জিয়ো’।
ছবির প্রচারে এসে মুম্বই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেপথ্য-কাহিনি ফাঁস করেছেন বরুণ। তাঁর কথায়, ‘‘আমার সঙ্গে কিয়ারা এমন ঝগড়া করত যে, কাক-চিল বসতে পারত না প্রায়! এক বার এমন ঝামেলা হল যে, বেগতিক দেখে খোদ রাজ মেহতা এসে মধ্যস্থতা করলেন।’’
যদিও ঝামেলাটা নাকি হয়েছিল ছবির সংলাপ নিয়েই। একটি দৃশ্যের সংলাপ বরুণ চাইছিলেন এক ভাবে বলতে, আর কিয়ারা অন্য ভাবে। কিয়ারা জোর করতে বরুণ জানান, তিনি যেমন করে বড় হয়েছেন, সে ভাবেই দৃশ্যটাকে দেখছেন। অভিনেতার দাবি, ‘‘আমি পুরুষ হিসেবে রোজগারের চিন্তা করব, সেটাই স্বাভাবিক। ছোটবেলা থেকে এ ভাবেই শিখে এসেছি।" তাই সংলাপে এই প্রসঙ্গ আসতে নিজের মতো করেই বলতে চেয়েছিলেন নায়ক। তখনই নাকি খেপে ওঠেন কিয়ারা। বরুণকে পুরুষতান্ত্রিক ভাবধারায় বিশ্বাসী এক নারীবিদ্বেষী বলেও গালিগালাজও করেন তিনি। তুমুল চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন রাজ। পরিচালককেই পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।
যদিও ‘যুগ যুগ জিয়ো’ এখন প্রেক্ষাগৃহ মাতাচ্ছে। সমালোচকরা বলছেন, মানুষকে বয়স নির্বিশেষে বিনোদন দিতে সফল হয়েছে বরুণ-কিয়ারার ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy