Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Raj Chakraborty

Habji Gabji: ছোটরা কি মোবাইল থেকে মুখ ফেরাবে? খুদেদের সঙ্গে নতুন ‘ডিল’ রাজ-শুভশ্রীর!

মোবাইল না পেলে বাবার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করে না সন্তান। এটাই কি আগামী প্রজন্ম? প্রশ্ন রাজ চক্রবর্তীর।

কচিকাঁচাদের মজিয়ে রাখবেন রাজ-শুভশ্রী?

কচিকাঁচাদের মজিয়ে রাখবেন রাজ-শুভশ্রী?

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২২ ১৯:২৭
Share: Save:

শুক্রবার শুভশ্রীর কাছে টুইটারে একগাদা নালিশ অভিভাবকদের। তাঁরা যে কিছুতেই ছোটদের থেকে মোবাইলকে দূরে রাখতে পারছেন না! শনিবার তাই রাজ চক্রবর্তী আর শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় বাধ্য হয়ে খুদেদের সঙ্গে নতুন ‘ডিল’ করেছেন! কী সেই চুক্তি? বাচ্চারা মোবাইলে ডুবে থাকবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে তারাই! বদলে সবাইকে রাজের আগামী ছবি ‘হাবজি গাবজি’ দেখতে হবে। ছবি দেখলেই নাকি তারা বুঝে যাবে, কেন মোবাইলের নেশা সর্বনাশা!

এই ‘ডিল’ নিয়ে ছোটদের মুখোমুখি শুভশ্রী। ঝাঁ-চকচকে সাজে আধুনিকা। এই ছবির নায়িকা তিনিই। বিপরীতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। খুদেরা অবশ্য প্রথমে খেয়ালই করেনি তাঁকে! তারা যে গ্রুপ গেমে মত্ত। ব্যাপারটা বেশ খারাপ লেগেছে অভিনেত্রীর। তিনি বোঝানোরও চেষ্টা করেছেন, এত মোবাইল ঘাঁটা ঠিক নয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা! কচিকাঁচাদের পাল্টা যুক্তি, বড়রা মোবাইলে ব্যস্ত থাকলে ক্ষতি নেই, যত দোষ বুঝি ছোটদের? শুভশ্রী আর খুদেদের এমন যুক্তি-পাল্টা যুক্তিতে আসর সরগরম। শেষে চুক্তিতে মৌখিক সম্মতি!

ছোটদের সঙ্গে কেন চুক্তি করতে গেলেন তাঁরা? রাজের যুক্তি, ‘‘ছোটদের সঙ্গে বাড়ির বড়রাও আসবেন প্রেক্ষাগৃহে। তাঁরাও ছবিটি দেখে বুঝবেন কী করা উচিত, কী নয়।’’ পরিচালক ছোট-বড় কাউকেই অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন না। কারণ তিনি বুঝেছেন, সবাই পরিস্থিতি এবং আধুনিকতার শিকার। সবাই মিলে অজান্তে ভুল করে ফেলছেন। সেই ভুলও শোধরাতে হবে সবাই মিলে।

কী এমন আছে ‘হাবজি গাবজি’তে, যার জোরে মোবাইল ভুলবে এই প্রজন্ম? ছবির নতুন প্রচারে তার উত্তর জুড়ে দিয়েছেন রাজ। ভিডিয়োয় থাকা প্রচার ঝলকের কিছু অংশ অনুযায়ী, একটা সময়ে তাঁদের একমাত্র সন্তানকে (স্যমন্তকদ্যুতি মৈত্র) সময় দিতেন না পরমব্রত-শুভশ্রী। সন্তান তার প্রতিশোধ নিয়েছে। সে-ও আঁকড়ে ধরেছে মোবাইলকেই। মোবাইল না পেলে বাবার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করেনি। এটাই কি আগামী প্রজন্ম? ছবির মাধ্যমে ছোট-বড় সবার কাছে এই প্রশ্নই রাখছেন পরিচালক রাজ।

পরিচালক আরও বলেছেন, ‘‘অনেকেই হয়তো ভাবেন, ইউভান আমার এই ছবির অনুপ্রেরণা। মোবাইল হাতে পেয়ে আমার বাড়ির ছোটদের বদলে যাওয়া নাড়া দিয়েছিল। একসঙ্গে বসে কথা বলতে ডাকলে ভাগ্নি ভীষণ বিরক্ত হত। তখনই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে বুঝতে পারি, এ অভ্যাস কতটা মারাত্মক। সঙ্গে সঙ্গে ছবির বিষয় হয়ে ওঠে মোবাইলের নেশা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE