খাবার খাওয়ার ঘণ্টা খানেক পরেই যদি আফসোস হতে থাকে, তবে মুশকিল। নানা প্রয়োজনে মাঝে মধ্যেই বাইরের খাবার খাওয়া হয়। আবার কারণে-অকারণে বেশি খাবার খাওয়াও হয়ে যায় অনেক সময়ে। সাময়িক ভাল লাগলেও এর ফল ভুগতে হয় দিনের শেষে বিশ্রামের সময়। তখনও এক বুক অস্বস্তি নিয়ে চলতে থাকে ওষুধের খোঁজ।
এক গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট জানাচ্ছেন, ওষুধের বদলে ঘরোয়া উপায়েও স্বস্তি মিলতে পারে। হার্ভার্ড প্রশিক্ষিত ওই চিকিৎসকের নাম সৌরভ শেঠি। তিনি জানাচ্ছেন, কিছু সাধারণ সহজলভ্য ঘরোয়া খাবার অস্বস্তি কাটাতে সাহায্য করবে।
আদা ও গোলমরিচের চা
আদা অন্ত্রকে উষ্ণ রাখে। যা বিপাকের হার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আদা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা কমাতেও সহায়ক। অন্য দিকে, গোলমরিচও ভারী খাবার ভাঙতে সাহায্য করে। দু’টি এক সঙ্গে মিশিয়ে খেলে হজমের সমস্যা মিটবে।
প্রণালী: ১ ইঞ্চি আদা এবং ৪ থেকে ৫টি গোলমরিচের দানা হালকা থেঁতো করে জলে ফুটিয়ে নিয়ে খান।
আরও পড়ুন:
জিরে, মৌরী এবং শুকনো আদার মিশ্রণ
জিরে হজমে সহায়ক এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে, মৌরী পেট ঠান্ডা করে এবং শুকনো আদা অন্ত্রে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা দূর করে। তিনটি এক সঙ্গে মিশিয়ে খেলে তা শরীরের তাপের ভারসাম্য বজায় রেখে হজমে সহায়তা করে।
প্রণালী: ভাজা জিরে এবং ভাজা মৌরী সমান ভাবে মিশিয়ে নিন। তার সঙ্গে ছোট ছোট কুচি করে মিশিয়ে নিন রোদে শুকনো আদা। একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা দূর হবে।
জিরে এবং আদার চা
জিরে এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে, অন্যদিকে আদা প্রদাহনাশক। খাবার পরে পেট ভারী লাগলে বা অম্বলের সমস্যা হলে তা দূর করতে এই পানীয় কার্যকরী।
প্রণালী: ১ চা চামচ জিরে এবং আধা চা চামচ আদাকুচি জলে ফুটিয়ে নিন। গরম অবস্থায় ধীরে ধীরে পান করুন।