ক্যাফিনের পরিমাণ সাধারণ চায়ের চেয়ে খানিক কম, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মাত্রাও বেশি। তাই মাঝেমধ্যেই গ্রিন টি-তে চুমুক দিচ্ছেন। তবে গ্রিন টি-র চেয়েও বেশি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মেলে, এমন চা-ও কিন্তু আছে।
আরও পড়ুন:
হোয়াইট টি: চায়ের গুণ বোঝা যায় তার রঙে এবং স্বাদে। স্বচ্ছ কাচের পাত্রে চা-পাতা ভেজালে হালকা লালচে রং ধরে। কোনও চা-পাতার রং হয় গাঢ়। চা-পাতার প্রক্রিয়াকরণ, কখন তোলা হচ্ছে, আবহাওয়া— এমন অনেক বিষয়ের উপর চায়ের স্বাদ-গন্ধ নির্ভর করে। এমন একটি চা হল হোয়াইট টি। দেখতে জলের মতোই। চা-পাতা দিলেও খুব বেশি বর্ণের বদল হয় না। অল্প প্রক্রিয়াকরণের ফলে এই চা তৈরি হয় বলে এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে।
জবা চা: জবা ফুলের পাপড়ি দিয়ে চা তৈরি হয়। এই চা কিনতেও পাওয়া যায়। চা দেখতে হয় লালচে। ভেষজ চায়ে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মেলে।অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এটি সাহায্য করে।
মাচা: গ্রিন টি-র চেয়েও অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মেলে সবুজ রঙা মাচা-তে। মাচা চা নিয়ে ইদানীং হইচই চলছে। গবেষণা বলছে, এই চায়ে ফ্ল্যাভনয়েড রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই চা ত্বকের জন্যও ভাল। সম্ভবত সেই জন্যই এই চায়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে নয়া প্রজন্মের কাছে। ক্যানসার প্রতিরোধে, ত্বকের যত্নে, সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এই চা কার্যকর।