বছরের প্রথমার্ধে খেয়েদেয়ে যে ওজন বাড়িয়েছেন, তা পুজোর আগেই ঝরিয়ে ছিপছিপে হতে চান। অথচ পুজোর আর দু’মাস বাকি। এত অল্প সময়ে ওজন ঝরাতে হলে কিছু বাড়তি শ্রম প্রয়োজন। সেটা আপনি বোঝেন। হয়তো সেই কারণেই ঠিক করেছেন, সকালে উঠে দৌড়বেন। মুশকিল হল, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া আর তাকে কাজে পরিণত করার মধ্যে তফাত অনেক। তার চেয়েও বেশি কঠিন সেই অভ্যাস জারি রাখা। বলিউডের তারকা ফিটনেস প্রশিক্ষক নম্রতা পুরোহিত, যিনি সারা আলি খান, জাহ্নবী, কপূর, করিনা কপূর, জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ়দের শরীরচর্চায় সাহায্য করেন, তিনি বলছেন, ‘‘আসলে শরীরচর্চা করার সময় আমরা খুব সাধারণ কিছু ভুল করে ফেলি। যা আমাদের ধারাবাহিকতায় প্রভাব ফেলে। আমরা এতটাই বিরক্ত হয়ে যাই যে, পরের দিন উঠে আবার শরীরচর্চা করার ইচ্ছেটাই চলে যায়।’’
দৌড়নোর সময় কোন কোন ভুল এড়িয়ে চলবেন?
১। প্রথমেই দৌড়োনোর রাস্তাটি ঠিক করে নিন। রোজ একই মাঠের চারপাশে পাক দিয়ে দৌড়নো একঘেয়ে লাগতে পারে। তাই দৌড়নোর জন্য এমন কোনও জায়গা বাছুন, যার পরিবেশ সুন্দর। তাতে একঘেয়েমির সমস্যা কাটবে।
২। এক ঘণ্টা দৌড়নোর পরিকল্পনা যদি করে থাকেন, তবে ওই গোটা সময়টা শুধুই দৌড়বেন না। বদলে ৪০ মিনিট দৌড়োন আর ২০ মিনিট হাঁটুন। টানা না দৌড়ে কিছু ক্ষণ দৌড়নোর পরে পাঁচ মিনিট হাঁটুন। তার পরে আবার দৌড়ন। এতে হাঁপিয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকবে না। আচমকা পেশির উপর অতিরিক্ত চাপও পড়বে না।
৩। প্রথমেই এক ঘণ্টা দৌড়নোর পরিকল্পনা করে ফেলবেন না। বরং প্রথমে অল্প দূরত্বের লক্ষ্য স্থির করুন। হয়তো প্রথম দিন এক কিলোমিটার দৌড়োলেন। বাকি সময়টুকু হালকা শরীরচর্চা করলেন। প্রথম দিনই খুব জোরে দৌড়নোরও দরকার নেই। দিন তিনেক ধীর গতিতে অল্প দূরত্ব অতিক্রম করার পরে ধীরে ধীরে দূরত্ব বৃদ্ধি করুন।
৪। দৌড়নোর আগে, দৌড়নোর সময়ে এবং দৌড়নোর পরে জল খাওয়া জরুরি। তা নাহলে শরীরে জলের অভাব তৈরি হতে পারে। দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন। নম্রতা বলছেন, ‘‘দৌড়নোর সময়ে জল খাওয়ার কথা ভুলেই যান অনেকে। সেটা একেবারেই ঠিক নয়। সঙ্গে ছোট জলের বোতল রাখুন। অল্প অল্প চুমুক দিতে থাকুন।’’
৫। ওজন ঝরাতে বদ্ধপরিকর, তাই রোজ সকালেই দৌড়তে যাচ্ছেন। এমনকি শরীরে ব্যথা হলেও রুটিন বাদ পড়ছে না। এমন করলে ভুল করবেন। গায়ে ব্যথা হওয়া বা দৌড়তে যেতে ইচ্ছা না হওয়া, ক্লান্তিবোধ— ইত্যাদি হলে বুঝতে হবে, শরীর আপনাকে জানান দিচ্ছে। তাই দরকার হলে বিশ্রাম নিন। ব্যথা কমলে আবার যান।