Advertisement
E-Paper

জলভর্তি গ্লাস বেশি ক্ষণ ধরে রাখতে পারেন না? কব্জির জোর বাড়বে রোজ বশিষ্ঠাসন অভ্যাস করলে

সপ্তর্ষিমণ্ডলের যে সাত জন ঋষি, তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন বশিষ্ঠ। অনেকেই মনে করেন, ওই ঋষির নামানুসারে আসনটির নামকরণ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪৩
Side Plank Pose

কী ভাবে করবেন বশিষ্ঠাসন? চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।

দীর্ঘ ক্ষণ খুন্তি নাড়লে কব্জিতে টান ধরে। ভারী জিনিস বেশি ক্ষণ হাতে ধরে রাখতে পারেন না। ভিজে কাপড় নিংড়াতে গেলেও হাত ঝনঝনিয়ে ওঠে। এমন উপসর্গ কিন্তু ‘কার্পাল টানেল সিনড্রোম’-এর লক্ষণ হতে পারে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, হাতের কব্জির কাছে সরু নালির মতো একটি অংশ আছে, যাকে ‘কার্পাল টানেল’ বলা হয়। এটি দেখতে অনেকটা সুড়ঙ্গের মতো। এর মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে ‘মিডিয়ান স্নায়ু’। এই স্নায়ুই হাতের বুড়ো আঙুল, তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকাকে নিয়ন্ত্রণ করে। যদি কোনও কারণে ওই নালিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা স্নায়ুর উপরে চাপ পড়ে, তখন কব্জিতে যন্ত্রণা শুরু হয়। হাত নাড়লে, মুঠো করলে বা কিছু ধরতে গেলে কষ্ট হয়। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ফিজ়িয়োথেরাপির সাহায্য নিতেই হয়। তবে যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, এর পাশাপাশি নিয়মিত বশিষ্ঠাসন অভ্যাস করলে কব্জির জোর বাড়বে। কাঁধ, বাইসেপ্‌সও মজবুত হবে।

সংস্কৃতে ‘বশিষ্ঠ’ শব্দের অর্থ হল ‘উৎকৃষ্ট’। অর্থাৎ, এই আসন দেহের সামগ্রিক উন্নতিসাধনে অভ্যাস করা যেতে পারে। আবার, সপ্তর্ষিমণ্ডলের যে সাত জন ঋষি, তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন এই বশিষ্ঠ। অনেকেই মনে করেন, ওই ঋষির নামানুসারে আসনটির নামকরণ করা হয়েছে। অনেকে আবার এই আসনটিকে ‘পার্শ্ব পালকাসন’ নামেও চেনেন, ইংরেজিতে যাকে ‘সাইড প্লাঙ্ক পোজ়’ বলা হয়।

কী ভাবে করবেন?

· প্রথমে ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।

· এ বার যে কোনও এক পাশে ফিরে যান। প্রথমে কনুইয়ে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে শরীর মাটি থেকে উপরের দিকে তুলুন।

· ওই ভাবে থাকাকালীন একটি পায়ের পাতার উপর অন্য পায়ের পাতা রাখবেন। এই ভঙ্গি ধরে রাখুন ৩০ সেকেন্ড।

· এ বার ভাঁজ করে মাটিতে রাখা হাতটি ধীরে ধীরে সোজা করার চেষ্টা করুন। খেয়াল করবেন, মাটি থেকে শরীর অনেকটা উঁচুতে উঠে যাবে। পায়ের অবস্থান একই রকম থাকবে।

· পুরো শরীরের ভার বইতে হবে হাতের তালু এবং পায়ের পাতাজোড়াকে। এই অবস্থান ধরে রাখুন আরও ৩০ সেকেন্ড।

· তার পর শরীরকে ধীরে ধীরে মাটিতে নামিয়ে আনুন। একেবারে প্রথম অবস্থানে ফিরে যান। একই ভাবে দেহের অন্য পাশটিতেও অভ্যাস করুন বশিষ্ঠাসন।

কেন করবেন?

শুধু তো হাত নয়, গোটা শরীরের পেশিই মজবুত, টান টান রাখতে সাহায্য করে এই আসন। দীর্ঘ ক্ষণ বসে বসে কোমরের নীচের অংশে ব্যথা হয়। নিয়মিত বশিষ্ঠাসন অভ্যাস করলে আরাম মেলে। দেহের ভারসাম্য ধরে রাখতেও সাহায্য করে এই আসন।

সতর্কতা:

যাঁদের কব্জিতে গুরুতর সমস্যা রয়েছে, তাঁরা বশিষ্ঠাসন অভ্যাস করবেন না। পিঠ, পায়ে কোনও ভাবে চোট-আঘাত লেগে থাকলেও বিরত থাকতে হবে। বুকে বা পাঁজরে যদি ব্যথা থাকে, তা হলে এই আসন করতে যাবেন না। আর্থ্রাইটিস থাকলেও বিপদ বাড়তে পারে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও বশিষ্ঠাসন অভ্যাস করা নিষিদ্ধ।

Yoga Exercise Wrist Pain
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy