আলাদা করে জিমে যাওয়ার সময় হয় না। কিন্তু বাড়ির পাশে পার্কে রোজ এক-দু’পাক করে দৌড়ে আসেন। দৌড়নোর জন্য বিশেষ জুতোও কিনেছেন। তবে ইদানীং খালি পায়ে দৌড়নোর চল হয়েছে। মডেল, অভিনেতা, ‘ফিটনেস আইকন’ মিলিন্দ সোমনকেও প্রায়শই খালি পায়ে দৌড়তে দেখেন। সুইৎজ়ারল্যান্ডের বরফাবৃত পাকদণ্ডী, সমুদ্রতট থেকে কলকাতার পিচগলা রাস্তা— প্রায় সর্বত্রই মিলিন্দ খালি পায়ে দৌড়েছেন।
বুঝতেই পারছেন যে, খালি পায়ে দৌড়লে ক্ষতি হবে না। কিন্তু আপনার পদযুগল তো মিলিন্দের মতো নয়। সে ক্ষেত্রে কি ক্ষতির আশঙ্কা নেই? চিকিৎসকেরা অবশ্য বলছেন, সব জিনিসেরই ভালমন্দ থাকে। তাই অতিরিক্ত কোনও কিছু করা ঠিক নয়। আবার, সব জিনিস সকলের শরীরের পক্ষে উপযুক্ত নয়। তাই কারা খালি পায়ে হাঁটবেন, আর কারা হাঁটবেন না— সে বিষয়ে অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই ভাল।
আরও পড়ুন:
খালি পায়ে দৌড়লে কী কী উপকার মিলবে?
১) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রানিং শু পরে দৌড়লে পদক্ষেপ করার সময়ে হাঁটুতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। কিন্তু খালি পায়ে দৌড়লে সেই আশঙ্কা থাকে না।
২) খালি পায়ে দৌড়লে পায়ের পেশি মজবুত হয়। জুতো পরে দৌড়লে পায়ে সেই গ্রিপ থাকে না। দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই পন্থা।
৩) জুতো পরে দৌড়লে অনেক সময়ে দেহের ভঙ্গি সঠিক হয় না। অনেকের কোমরে ব্যথা লাগে। খালি পায়ে দৌড়লে তেমনটা হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
খালি পায়ে দৌড়লে কি কোনও সমস্যাই হয় না?
১) চিকিৎসকেরা বলছেন, হাঁটুর চাপ কমলেও খালি পায়ে দৌড়লে কিন্তু গোড়ালিতে চোট লাগতে পারে। কাফ মাস্ল বা পায়ের উপরের দিকের পেশিতে অতিরিক্ত চাপ পড়লে প্রদাহজনিত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
২) খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস নেই। অথচ হঠাৎ দৌড়তে শুরু করলেন, সে ক্ষেত্রে পায়ের গোছে বা অস্থিসন্ধিতে চোট লাগার প্রভূত আশঙ্কা থাকে।
৩) যাঁদের ফ্ল্যাটফুটের সমস্যা আছে, তাঁদের একেবারেই খালি পায়ে হাঁটা বা দৌড়নো উচিত নয়। তাতে সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
৪) ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি থাকলে খালি পায়ে হাঁটা একেবারে নিষিদ্ধ। শক্ত মাটিতে হাঁটতে গিয়ে উল্টে বিপদ হতে পারে।
আরও পড়ুন:
খালি পায়ে যদি দৌড়তেই হয়, তা হলে কী কী মাথায় রাখবেন?
১) একেবারে শুরুতে নরম মাটি বা ঘাসের উপর হাঁটুন। ধীরে ধীরে হাঁটার গতি বৃদ্ধি করবেন।
২) পায়ের ব্যায়াম করে আগে পায়ের জোর বাড়িয়ে তুলতে হবে। পেশি যদি দুর্বল হয়, তা হলে দৌড়তে গিয়ে চোট লেগে যেতে পারে।
৩) পায়ে, কোমরে যাতে চোট না লাগে, তার জন্য নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে দৌড়তে হবে। না হলে পায়ে অতিরিক্ত চাপ পড়বে।