‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’-তে প্রথম বার হৃতিক রোশনকে চিনল গোটা দেশ। এত সুঠাম দেহ, শরীরের এমন নমনীয়তা, এমন নাচ, এর আগে দেখেনি বলিউড। শাহরুখ খান বলেছিলেন, ‘‘তাঁকে নাচতে দেখে আমি চমকে গিয়েছিলাম। এমন নাচ আমি কখনও দেখিনি।’’ কিন্ত নমনীয়, সুঠাম শরীর তো বিনা আয়াসে পাওয়া যায় না। তার জন্য প্রয়োজন ফিটনেস। সম্প্রতি বলিউডের অভিনেত্রী অমিশা পটেলের কথায় জানা গেল, ফিটনেস নিয়ে উন্মাদনা রয়েছে হৃতিকের মধ্যে। আর হৃতিকই সেই মানুষ, যিনি অমিশাকেও ফিটনেসের প্রতি আগ্রহী হতে বাধ্য করেছেন।
‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ ছবির গান। ছবি: সংগৃহীত।
‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ মুক্তির সময়ের কথা মনে করে অমিশা বলছেন, ‘‘আজকালকার দিনে তো সবই ইনস্টাগ্রামে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু তখন এত কিছু প্রকাশ পেত না। হৃতিক কিন্তু তখনও ফিটনেস নিয়ে এতটাই আগ্রহী ছিল। সারা দিন প্রোটিন শেক খেত সে। আর আমি তো সেটে যা দিত, তাই খেতাম। হৃতিক আমায় বোঝাত, এটা খাওয়া উচিত, ওটা নয়, এটা প্রোটিন, ওটা কার্ব। আমি এ সবের পার্থক্যই বুঝতাম না। আমি ফিটনেসের বিষয়ে অনেক কিছু শিখেছি ওর থেকে। যেমন ভাবে হৃতিক শিখেছে সলমন খানের থেকে। আবার সলমন শিখেছে সঞ্জয় দত্তের দৌলতে। সব সময়ে এক জন অন্যের থেকে অনুপ্রেরণা পায়। আর হৃতিক? ও তো গোটা একটি প্রজন্মকেই অনুপ্রেরণা দিয়েছে। ফিটনেস নিয়ে এত কথাবার্তা, এত চর্চা কিন্তু ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’-এর পর থেকেই শুরু হল।’’
আরও পড়ুন:
হৃতিক যে ৫০-এর কোঠা পেরিয়ে গিয়েছেন, তা বোঝা বেশ কষ্টসাধ্য। এখনও হাঁটা, দৌড়োনো, সাঁতার কাটা, জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করা থামাননি তিনি। চলতি বছরের শুরুতেই হৃতিক তাঁর অনুরাগীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন,‘‘আপনি যে রকম শরীর চান, জীবনে অন্তত এক বার সেটা পেয়ে দেখুন। তার পর যদি আর শরীরচর্চা করে সুঠাম হতে ইচ্ছে না করে, তা-ও ঠিক আছে। কিন্তু কমপক্ষে এক বার সেই পর্যন্ত পৌঁছোনো উচিত।’’