Advertisement
E-Paper

গরুর দুধ খেলে কি ‘বার্ড ফ্লু’ হতে পারে? এই বিষয়ে কী তথ্য দিয়েছে ‘হু’?

গরুর দুধ থেকে তৈরি নানা খাবার খাওয়া হয়। আর সেই কারণেই আতঙ্ক দানা বেঁধেছে মনে। গরুর দুধের স্বাস্থ্যগুণ নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৪ ১৮:২৭
Bird Flu Risk prompts warnings against raw milk

গরুর দুধ খেলে ‘বার্ড ফ্লু’ হবে? ছবি: সংগৃহীত।

আবার নতুন করে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠল ‘বার্ড ফ্লু’। এই রোগের ভাইরাস ‘এইচফাইভএনওয়ান’ মিলল গরুর দুধে। ইতিমধ্যে নিউ ইয়র্কের এক বাসিন্দা ‘বার্ড ফ্লু’তে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ ‘হু’ এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে। আর তার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। গরুর দুধ অনেকেরই নিত্য দিনের খাবারের তালিকায় থাকে। শিশুদেরও এই দুধ খাওয়ানো হয়। তা ছাড়া গরুর দুধ থেকে তৈরি নানা খাবার খাওয়া হয়। আর সেই কারণেই আতঙ্ক দানা বেঁধেছে মনে। গরুর দুধের স্বাস্থ্যগুণ নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।

নিউ ইয়র্কের বাসিন্দার বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকেই এই আতঙ্কের সূত্রপাত। সেখানকার বেশ কয়েকটি পশুখামারের গরুর দেহে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু নিউ ইয়র্ক নয়, আমেরিকার অন্য দুই শহর টেক্সাস এবং মেক্সিকোর বেশ কয়েকটি পশুপালন কেন্দ্রের মুরগি এবং গরুর দেহে বার্ড ফ্লু রোগের ভাইরাস ছড়িয়েছে। গবেষণা জানাচ্ছে, বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত গরুর দুধে এই রোগের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। সেই দুধ খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ব্যক্তি। এই ভাইরাসের হদিস পাওয়া গিয়েছে বিশেষ এক প্রজাতির পাখিদের দেহেও। আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ সারা দেশ থেকে ইতিমধ্যেই দুধের নমুনা সংগ্রেহর কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে ভারতে এখনও পর্যন্ত আশঙ্কাজনক কোনও প্রমাণ মেলেনি। তা সত্ত্বেও এই ঘটনার পর অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে, ঝুঁকি এড়াতে তা হলে কি গরুর দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া জরুরি?

Bird Flu Risk prompts warnings against raw milk

‘বার্ড ফ্লু’ রোগের ভাইরাস ‘এইচফাইভএনওয়ান’ মিলল গরুর দুধে। ছবি: সংগৃহীত।

দুধ হল শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ উৎস। দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া মানে শারীরিক নানা সমস্যার সম্মুখীন হওয়া। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া শরীরের জন্য ঠিক হবে না বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। তা হলে উপায়? বিভিন্ন দেশের গবেষক এবং চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দুধ খেতে হলে সব সময় ফুটিয়ে খাওয়া উচিত। কাঁচা দুধ খাওয়া নৈব নৈব চ। কারণ কাঁচা দুধ পাস্তুরাইজ করা হয় না। ফলে কোনও জীবাণু থাকলে তা সরাসরি শরীরে প্রবেশ করে। গরম করে খেলে সেই ভয় থাকে না। তাই কাঁচা দুধ খাওয়া নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত বলেই তাঁদের মত।

milk bird flu
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy