ইডিস মশাই চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গি বা পীতজ্বরের মতো সংক্রমণের জন্যও দায়ী। প্রতীকী ছবি।
কর্নাটকে জ়িকা ভাইরাসের সন্ধান মিলল। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর জানিয়েছেন, রায়চূড় জেলায় পাঁচ বছরের একটি মেয়ের দেহে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। দিন কয়েক আগেই মহারাষ্ট্রের পুণেতে ৬৭ বছরের প্রৌঢ়ের শরীরেও মিলেছে এই ভাইরাসের হদিস। এর আগে কেরল এবং উত্তরপ্রদেশেও জ়িকা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে।
কিন্তু কী এই জ়িকা ভাইরাস?
মূলত ইডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয় রোগীর শরীরে। এই ইডিস মশাই চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গি বা পীতজ্বরের মতো সংক্রমণের জন্যও দায়ী। তবে সব সময়ে যে এই ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য এই মশার কামড়ই দায়ী, তা নয়। গর্ভবতী মহিলার থেকে তাঁর গর্ভে থাকা সন্তানও এই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে। যৌনসম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস।
উপসর্গ?
জ়িকা ভাইরাসের সংক্রমণে তেমন মারাত্মক উপসর্গ কিছু হয় না। জ্বর, মাথাব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে, জ়িকার সংক্রমণে মৃত্যুর আশঙ্কাও তুলনায় কম। কিন্তু সংক্রমণ বাড়াবাড়ি জায়গা গেলে, তা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
এই ভাইরাস শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আক্রমণ করে। এর আক্রমণে রক্তের অণুচক্রিকাগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ফলে শরীরের ভিতর রক্তপাত শুরু হয়। জ়িকা ভাইরাসের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে গর্ভবতীদের উপর। মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থাতেই আক্রান্ত হচ্ছে সন্তানও। সেই সন্তান জন্ম নিচ্ছে মাইক্রোসেফ্যালিতে আক্রান্ত হয়ে। অর্থাৎ, ওই নবজাতকদের মাথা শরীরের তুলনায় অস্বাভাবিক রকম ছোট আকারের হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, অসম্পূর্ণ মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মানো এই শিশুদের জীবনভর সেই অস্বাভাবিকতা নিয়েই বাঁচতে হবে।
কী ভাবে চিকিৎসা হয় এই জ়িকা সংক্রমণের?
এখনও পর্যন্ত এর কোনও টিকা বা ওষুধ নেই। চিকিৎসকেরা বলেন, প্রচুর জল খেতে আর বিশ্রাম নিতে। এটাই জ়িকা থেকে সেরে ওঠার একমাত্র রাস্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy