Advertisement
E-Paper

পিসিওএসে মেদ জমলেই বিপদ, শর্করাও বশে রাখতে হয়, কোন তিন স্ন্যাক্স খেলে ক্ষতি নেই?

পিসিওএস ধরা পড়লে খাওয়াদাওয়া সবচেয়ে আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। খেয়াল রাখতে হয়, যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে না যায়। কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড যাতে না বাড়ে, সে জন্য বিশেষ ডায়েটও দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৫ ১৯:১৫
Check out some healthy PCOS snack ideas

পিসিওএসেও কী কী স্ন্যাক্স খাওয়া স্বাস্থ্যকর? ছবি: ফ্রিপিক।

ওজন বাড়লেই পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিএওস)-এর মতো অসুখ হানা দিতে পারে। এই রোগের কারণে ৫০ শতাংশ মেয়েরা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। মেদ বেড়ে যায় সহজেই, শরীরে লোম বেশি দেখা যায়, মাথায় চুল উঠতে থাকে, শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। পিসিওএস ধরা পড়লে খাওয়াদাওয়া সবচেয়ে আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। খেয়াল রাখতে হয়, যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে না যায়। কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড যাতে না বাড়ে, সে জন্য বিশেষ ডায়েটও দেওয়া হয়।

পিসিওএস হলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। তাই রক্তে শর্করা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। তার থেকে হৃদ্‌রোগের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কিন্তু তাই বলে খাওয়াদাওয়া তো একেবারে বন্ধ করে দেওয়া যায় না। তাই যদি বারে বারে খিতে পায় বা ভালমন্দ কিছু খেতে ইচ্ছে করে, তা হলে হালকা স্ন্যাক্স খেতেই পারেন। তবে ভাজাভুজি নয়, কী ধরনের স্ন্যাক্স খাওয়া যেতে পারে, তা জেনে নিন।

নাট বাটার রোল

ময়দা দিয়ে বানানো রোল নয়, খেতে হবে ওট্‌স দিয়ে বানানো রোল। ঠিকমতো বানাতে পারলে তা যেমন সুস্বাদু হবে, তেমনই স্বাস্থ্যকরও হবে।

কী ভাবে বানাবেন?

এক কাপের মতো রোল্‌ড ওট্‌স নিয়ে শুকনো খোলা নেড়ে দিতে হবে। লাগবে আধ চামচের মতো পিনাট বাটার, আধ চা চামচ মধু, আধ কাপের মতো কাঠবাদাম, আখরোটের গুঁড়ো বা নানা ধরের বীজ। সবই গুঁড়িয়ে নিতে হবে। এ বার সব কিছু একটি পাত্রে নিয়ে তাতে মধু দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এর থেকে ছোট ছোট বলের মতো গড়ে নিয়ে তা বেকিং শিটে রেখে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা হলে জমে গিয়ে সুন্দর স্ন্যাক্স তৈরি হয়ে যাবে। মিষ্টির বদলে এই স্ন্যাক্স খেতে পারেন।

কিনোয়া স্যালাড

কিনোয়ায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ও ফাইবার আছে। এটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। ভাত বা রুটির বদলে কিনোয়ার স্যালাড খাওয়া যেতেই পারে।

কী ভাবে বানাবেন?

এক কাপের কিনোয়া সেদ্ধ করে নিতে হবে। এ বার আধ কাপের মতো শসা কুচি, ক্যাসিকামের কুচি, লেটুস পাতা, পার্সলে পাতা নিয়ে নিন। সব একটি পাত্রে নিয়ে উপরে ২ চা চামচের মতো অলিভ অয়েল, এক চামচ পাতিলেবুর রস, আধ চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো ও এক চিমটে নুন ছড়িয়ে দিন। এই স্যালাড খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে, খাই খাই প্রবণতা কমবে।

চিয়া পুডিং

সহজপাচ্য ফাইবার, প্রোটিন থেকে হার্ট ভাল রাখার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড— সবই রয়েছে এই বীজে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে চিয়া বীজ। সন্ধ্যার খুচরো মেটাতে বা প্রাতরাশে চিয়া পুডিং খেলে উপকার হবে।

কী ভাবে বানাবেন?

১ কাপ গরম দুধ নিয়ে তার মধ্যে ২ চামচ চিয়া বীজ, ২ চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার চাইলে কলা টুকরো করে কেটে নিয়ে সেই মিশ্রণে মেশাতে পারেন। গরুর দুধে অ্যালার্জি হলে সয়া মিল্ক বা কাঠবাদামের দুধও মেশানো যেতে পারে। মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে দিনি। ঘণ্টা দুয়েক রাখলেই পুডিং তৈরি হয়ে যাবে। অথবা সারা রাত ফ্রিজে রেখে সকালেও খেতে পারেন।

PCOS Healthy Diet
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy