মাইগ্রেনের ব্যথা বড় কষ্টের। যাঁদের হয় তাঁরাই বোঝেন। ব্যথা একবার শুরু হলে, তা সহজে কমে না। টানা ২৪ ঘণ্টা বা ৪৮ ঘণ্টাও ব্যথা থাকে। সেই সঙ্গে গা গোলানো ভাব, মাথা ঘোরার সমস্যাও হয়। চোখে আলো পড়লেই যন্ত্রণা আরও বাড়ে। মাইগ্রেন যাঁদের থাকে, তাঁদের সবসময়েই সঙ্গে ওষুধ রাখতে হয়। যদি এমন পরিস্থিতি আসে যে সঙ্গে ওষুধ নেই, এ দিকে মাথায় যন্ত্রণা শুরু হল, তখন সাময়িক ভাবে আরাম দিতে পারে ‘কুলিং প্যাচ’। এটি ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। শারীরিক অস্বস্তিও দূর হবে।
কুলিং প্যাচ কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
কুলিং প্যাচ এক ধরনের হাইড্রোজেল। এতে কোনও ওষুধ মেশানো থাকে না। এর কাজ হল আইস প্যাকের মতো ঠান্ডা সেঁক দেওয়া। এক ধরনের জেল শিট যাতে থাকে জল, গ্লিসারল, পুদিনা, ইউক্যালিপ্টাস অয়েল বা ল্যাভেন্ডার অয়েল। এই প্যাচ মাথা, ঘাড়ে বা বুকে লাগিয়ে রাখলে ঠান্ডা অনুভূতি হয়। এসেনশিয়াল অয়েল দ্রুত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
কুলিং প্যাচ শুধু যে মাইগ্রেনের ব্যথা কমায়, তা নয়, সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশিতে মাথা যন্ত্রণা, ঋতুস্রাব কালীন ব্যথা, মহিলাদের হট ফ্লাশের মতো সমস্যায় যন্ত্রণা কমাতেও কার্যকরী কুলিং প্যাচ। শরীরে যদি হঠাৎ অস্বস্তি শুরু হয়, মাথা ঘোরা, বমি ভাব থাকে, তা হলে কপালে, ঘাড়ে কুলিং প্যাচ দিলে অনেক আরাম পাওয়া যাবে। সাময়িক ভাবে হলেও ব্যথাবেদনা কমে।
আরও পড়ুন:
মাইগ্রেন এখন ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে। কমবয়সিরাই ভুক্তভোগী। ব্যস্ত জীবনে সঠিক ডায়েটের অভাব, শরীরচর্চা করেন না অনেকেই, তার উপর সংসার ও পেশা সামলাতে গিয়ে প্রচণ্ড মানসিক চাপ তো আছেই। কোনও মহিলার পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম থাকলে বা হরমোনজনিত সমস্যা থাকলে, তার থেকেও মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে। আবার গর্ভনিরোধক ওষুধ একটানা বেশি খেলেও তার থেকে মাইগ্রেন হতে পারে। মাথার এক দিকেই ব্যথা হয় বেশি। সারা ক্ষণ দপদপ করতে থাকে। সাধারণত ৪৮ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা অবধি ব্যথা থাকতে পারে।
মাইগ্রেন যাদের আছে, তাদের সব সময়েই সতর্ক থাকতে হয়। রক্তচাপ যাদের বেশি, তাদের মাইগ্রেনের ব্যথা যখন-তখন বেড়ে যেতে পারে। বেশি চিন্তা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা শুরু হলে তখন রক্তচাপের হেরফের হয়। সে কারণেও ব্যথা বাড়ে। তাই যদি ওষুধ কাছে না থাকে, তা হলে কুলিং প্যাচ কিনে তা ব্যবহার করতে পারেন অথবা সঙ্গে রাখতে পারেন। এর দামও বেশি নয়। একটি কুলিং প্যাচের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা। ৪টির প্যাকেট নিলে দেড়শো টাকা পড়বে। তবে ব্র্যান্ডের উপর দাম নির্ভর করবে।