টিকার প্রভাব কমে যাচ্ছে তিন মাসেই। ছবি: সংগৃহীত
করোনা আটকাতে কোন টিকা নেবেন, তা নিয়ে এখনও সংশয়ে রয়েছেন বহু মানুষ। অনেকেরই প্রশ্ন, কোন করোনা টিকার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। এরই মধ্যে উঠে এল এমন এক তথ্য, যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিজ্ঞানীদের। ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ক্ষমতা অনেকের শরীরেই দ্রুত কমে যাচ্ছে। এমনই বলছে হালের সমীক্ষা।
সম্প্রতি ‘ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন’-এর তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। কোন টিকার অ্যান্টিবডি শরীরে কত দিন থাকছে, তা পরীক্ষা করে দেখেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। দেখা গিয়েছে, ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার দু’টি করে টিকা নেওয়ার পরে ছয় সপ্তাহের মাথায় এসে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমতে শুরু করে। ১০ সপ্তাহের মাথায় এসে অনেকের ক্ষেত্রেই তা নেমে আসে ৫০ শতাংশে।
‘ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন’-এর গবেষণাপত্রটি ‘ল্যানসেট’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে এই সমীক্ষাটি চালানো হয়। সেই দলে নানা বয়সের স্বেচ্ছাসেবীরা ছিলেন। ছিলেন কোনও অসুস্থতার লক্ষণ না থাকা মানুষ, আবার নানা ধরনের অসুখে ভুগছেন এমন মানুষও। কমবেশি সকলের ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবডির পরিমাণ দ্রুত কমেছে। এমনটাই দেখিয়েছে সমীক্ষাটি।
ভারতে এখনও ফাইজারের টিকা আসেনি। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশল্ডের অ্যান্টিবডি শরীরে কত দিন থাকছে, তা অবশ্য এই সমীক্ষায় আলাদা করে দেখা হয়নি। তবে এই ধরনের সমীক্ষা চলছে বহু দেশেই। ফলে কোভিশিল্ডের ক্ষমতার বিষয়টিও দ্রুত উঠে আসবে বলেই আশা।
কিন্তু এই সমীক্ষার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি দু’টি টিকা যথেষ্ট নয়? এর ফলে তিনটি টিকা বা বুস্টার টিকার সপক্ষে সওয়াল আরও জোরদার হচ্ছে কি? বিজ্ঞানীরা বলেছেন, যেহেতু মাত্র ৬০০ জনকে নিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। আরও বেশি মাত্রায় মানুষের অ্যান্টিবডির পরীক্ষা করে ভবিষ্যতে এর উত্তর পাওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy