চুমু খেলে শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের হারও বাড়ে, ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও চুমুর জুড়ি মেলা ভার। ছবি: শাটারস্টক।
সম্পর্ক সুন্দর ও মজবুত করতে চুম্বনের ভূমিকা যে অসীম, তা বলাই বাহুল্য। ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হল চুম্বন। তবে জানেন কি, শরীরের যত্ন নিতেও দারুণ উপকারী চুম্বন। টুকটাক মান-অভিমান মেটাতে এমন আদরণীয় হাতিয়ারের জুড়ি মেলা ভার। নিয়ম করে শরীরচর্চার পাশাপাশি রোজ চুমু খেলেও স্বাস্থ্য থাকবে ঝরঝরে, সে খবর রাখেন কি?
চুমু খেলে মানসিক তৃপ্তির সঙ্গে সঙ্গে আরও একটা স্বাস্থ্যকর দিকের কথা সামনে এনেছেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা। লস অ্যাঞ্জেলেসের গবেষক জাইয়া কিন্সবাক-ও এই গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার এই গবেষকদের মতে, কেবলমাত্র হৃদ্স্পন্দন ঠিক রাখা বা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করাই নয়, শরীর মেদহীন রাখতেও চুমুই হতে পারে আপনার অস্ত্র!
গবেষকদের মতে, নিয়মিত চুমুতে ‘ফিল গুড’ হরমোনদের ক্ষরণ বাড়ায়। ফলে, শরীরে অবাঞ্ছিত মেদ ঘাঁটি গাড়তে পারে না। বরং অনিয়মের কারণে যেটুকু মেদ জমে, তা-ও গলে যায় সহজেই। চুমুর এমন উপকারকে ‘মিষ্টি আশীর্বাদ’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন জাইয়া। তাঁর মতে, ‘স্মুচিং’ বা গভীর চুমু, সুস্থ থাকার মাপকাঠি। গাঢ় চুমুর ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে ৪-৬ ক্যালোরি ঝরতে পারে। কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে ও কত ক্ষণ একটানা চুমু খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করবে কতটা ক্যালোরি ঝরবে।
দিনে কত বার চুমু খেলে তবে ওজন ঝরবে? ক্যালোরি ঝরানোর উদ্দেশে যে চুমু, তার কি কোনও সময়সীমা আছে? সে প্রশ্নেরও উত্তর জানিয়েছেন গবেষকরা। গবেষকদের মতে, দিনে অন্তত ৩-৪ বার গভীর চুম্বন করলে তবেই মিলবে উপকার। শুধু তা-ই নয়, এমন ভঙ্গিমায় চুমু খেতে হবে, যাতে মুখের পেশিগুলি সক্রিয় হয়।
আর কী কী গুণ রয়েছে চুমুর?
চুমুর কিন্তু অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চুমু খাওয়া উপকারী। শরীরের পাশাপাশি মুখের মেদ ঝরাতেও এই কসরতটি করাই যায়। চুমু খেলে শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের হারও বাড়ে, ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও চুমুর জুড়ি মেলা ভার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy