হাড়ের যত্ন নেবে যে পানীয়গুলি। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে হাড়ের ক্ষয় হয়। বয়সের চাকা যত গড়াতে থাকে, নানা শারীরিক সমস্যা শরীরে জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। হাঁটুতে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, হাঁটতে-চলতে সমস্যা হওয়া তার মধ্যে অন্যতম। বাড়ির বয়স্কদের খেয়াল করলে দেখা যাবে, তাঁদের উঠতে-বসতে সমস্যা হয়। হাঁটাচলা করতে পারে না। কয়েক পা এগোতেই পায়ে যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়। অস্থিসংক্রান্ত এই ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে অনেকেই নানা সাপ্লিমেন্ট খান। তবে কৃত্রিম উপায়ে হাড়ের জোর বৃদ্ধি করার উপায়টি খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। তার চেয়ে হাড় মজবুত এবং শক্তিশালী করতে বরং ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি পানীয়ে।
দুধ
ভরপুর ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ দুধ হাড়ের যত্ন নেয়। হাড় ভাল রাখতে দুধ খেতে পারেন নিয়ম করে। বাচ্চাদের তো বটেই, বয়স বাড়লেও দুধ খাওয়া জরুরি। দুধ হাড় শক্তিশালী করে। অস্থিসংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি কমায়। দুধের গুণে ভাল থাকে পেশি এবং হাড়।
টম্যাটোর রস
হাড়ের দেখাশোনায় টম্যাটো সত্যিই উপকারী। টম্যাটোতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমায়। হাড় সংক্রান্ত বহু সমস্যার সমাধান করতে সিদ্ধহস্ত টম্যাটো। এই সব্জিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলস। তবে টম্যাটোর রস বেশি খেলে আবার মুশকিলে পড়তে পারেন। কারণ মাত্রাতিরিক্ত টম্যাটোর রস খেলে টিস্যু ক্ষয়ে যেতে পারে।
স্মুদি
ইয়োগার্ট এবং বেরি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন স্মুদি। ইয়োগার্ট এবং স্মুদি দু’টোতেই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। হাড় শক্তিশালী করতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুরুত্ব অপরিসীম। ইয়োগার্ট এবং বেরি মিশিয়ে তৈরি হবে সুস্বাদু স্মুদি।
কমলালেবুর রস
কমলালেবুতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এ ছাড়াও কমলালেবুতে ভিটামিন ডি, মিনারেলসও আছে ঠাসা। প্রতিটি উপাদান হাড়ের যত্ন নেয়। অস্থিসংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি কমায়। হাড় ভাল রাখতে কমলালেবুর জুড়ি মেলা ভার।
ওট্স স্মুদি
ওজন কমাতে ওট্সের জুড়ি মেলা ভার। তবে ওট্স কিন্তু হাড়ের দেখাশোনাতেও সমান কার্যকরী। ওট্স আর বাদাম দিয়ে বানাতে পারেন স্মুদি। হাঁটুতে ব্যথা, পায়ের ব্যথা, গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণার সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, ওট্স আর বাদাম দিয়ে তৈরি স্মুদি শরীরের যত্ন নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy