ভাতের বিকল্প হিসাবে পুজোর আগে ডায়েটে রাখতে পারেন কিনুয়া। ছবি-সংগৃহীত
রোগা হওয়া মুখের কথা নয়। মেদ ঝরিয়ে রোগা হওয়ার বিষয়টি শুনতে যতটা সহজ লাগে, বাস্তবে কিন্তু ঠিক তার উল্টোটাই। সামনেই পুজো। এই সময় কেনাকাটা করার পাশাপাশি চলে রোগা হওয়ার চেষ্টা।
হাতে আর মাত্র কয়েক দিন। তার পরেই শারদোৎসবে মাতবে বাঙালি। উৎসবের আমেজ গায়ে মাখার আগে নিজেকে ঝরঝরে তন্বী করে তোলার অক্লান্ত পরিশ্রমে ব্যস্ত অনেকেই। জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার পাশাপাশি চলছে ক়ড়া ডায়েটও। পছন্দের খাবার থেকে নিজেকে অতি কষ্টে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। অফিসের লিফট ব্যবহার না করে ব্যবহার করছেন সিঁড়ি। এমনকি পুজোর আগে শেষ কয়েকটি দিনে ছিপছিপে হয়ে উঠতে ছেড়েছেন ভাত খাওয়াও।
পুষ্টিবিদদের মতে, ভাত খেলেই ওজন বেড়ে যাবে, এমন ধারণা পোষণ করেন অনেকেই। তাই রোগা হওয়ার কথা মনে আসতেই সবার আগে বন্ধ করেন ভাত খাওয়া। ভাত শরীরে কার্বোহাইড্রেটের অন্যতম উৎস। কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি কিন্তু চেহারার জেল্লা কমিয়ে দিতে পারে।
ভাত খাওয়া বন্ধ করেছেন অসুবিধা নেই। তবে ভাতের বিকল্প খুঁজে বার করা প্রয়োজন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ভাতের বিকল্প হিসাবে পুজোর আগে ডায়েটে রাখতে পারেন কিনুয়া। এক ধরনের ফুলগাছের বীজ হল কিনুয়া। হোল গ্রেন কাউন্সিলের তথ্য অনুসারে, এটি হল গ্লুটেন ফ্রি হোল গ্রেন কার্বোহাইড্রেট। এতে যেমন কার্ব আছে, তেমনই এটি প্রোটিনে ভরপুর। শস্য না হয়েও শস্যের মতো কাজ করে। সাদা, কালো ও লাল— মূলত এই তিন ধরনের কিনুয়া পাওয়া যায়। স্যালাডেও কিনুয়া ব্যবহার করতে পারেন। কিনুয়া দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন খিচুড়িও।
এক কাপ কিনুয়ায় পাওয়া যায় ২২২ ক্যালোরি ও ২২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। অন্য দিকে এক কাপ চালে থাকে কার্বোহাইড্রেট থাকে প্রায় ৭৮ গ্রাম। ফাইবার এবং প্রোটিনও ভাতের তুলনায় কিনুয়াতেই বেশি। ফলে ভাতের পরিবর্তে কিনুয়া খেলে সুফলই পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy