আকাশ কালো করে প্রায় রোজই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামছে। আবার বৃষ্টি থামলেই রোদ উঠছে। বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম কমেনি। বরং আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় অসুখবিসুখ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতাও বেশি। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি হজমের সমস্যা হয়। ঘন ঘন জ্বর, পেটখারাপেও ভোগেন অনেক। তাই এই সময়টাতে বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
শরীর ঠান্ডা রাখতে কী কী করবেন?
১) সহজপাচ্য খাবার খাওয়া জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ, বাড়িতে রান্না করা খাবারই খান। পাতে রাখুন সবুজ শাকসব্জি। পটল, ঝিঙের মতো সব্জি বেশি করে খান, যাতে জলের ভাগ বেশি। প্রথম পাতে একটু ঘি খেতে পারেন।
২) ডাবের জল খান পরিমাণ বুঝে। রাস্তায় বিক্রি হওয়া লস্যি বা ফলের রস না খেয়ে বাড়িতেই বানিয়ে খান।
আরও পড়ুন:
৩) রোদ থেকে ফিরে কিছু ক্ষণ বসে শরীরের তাপমাত্রা একটু কমার সময় দিন। তার পরে লেবু আর বিটনুনের শরবত খেতে পারেন।
৪) দইয়ের ঘোল বাড়িতেই বানিয়ে নিন। জলখাবারে দই-চিঁড়ে, দই দিয়ে ফলের স্মুদি খেতে পারেন। দুপুরে খাওয়ার পরে শেষ পাতে বাড়িতে পাতা টক দই খান। আবার দই দিয়ে ভাতও চলতে পারে। শরীর ঠান্ডা রাখতে খুব উপকারী হল দই।
৫) শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে খেতে পারেন তরমুজের শরবত। তরমুজের শাঁস মিক্সিতে বেটে তার সঙ্গে জল আর মধু মেশান। তাতে অল্প বরফ ফেলে খেয়ে নিন।
৬) শসা দিয়ে রায়তা তো বানানো হয়েই থাকে। তবে লাউয়ের রায়তাও বানিয়ে দেখতে পারেন। লাউ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে একেবারে ঝিরিঝিরি করে ঘষে নিন। তার পর অল্প জলে ভাপিয়ে নিন লাউ। উনুন থেকে নামিয়ে, জল ঝরিয়ে নিন। টক দইয়ের সঙ্গে লাউ মিশিয়ে দিন। তার মধ্যে দিন বিট নুন, লঙ্কা কুচি আর পুদিনা পাতা। অল্প জিরের গুঁড়োও দিয়ে দিতে পারেন এই রায়তায়।