ছবি: পিক্সাবে
যে সব অঞ্চলে বাতাসে দূষণের পরিমাণ বেশি, সেখানে শারীরিক নানা রকম সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বায়ুদূষণের মাত্রা যে পর্যায়ে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে বলে ধরা হয়, তার প্রভাবেও যে মস্তিষ্কের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে, সে কথা জানাচ্ছে সাম্প্রতিক গবেষণা। সার্দান ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কেক স্কুল অফ মেডিসিন’-এর গবেষক ডিভাইন এল কটার বলছেন, “আমেরিকায় বায়ুদূষণের মাত্রা অনেকটাই কম। তা সত্ত্বেও আমরা মস্তিষ্কে তার প্রভাব লক্ষ্য করছি। বাতাসে থাকা যে সব দূষিত পদার্থকে আমরা তুলনায় কম ক্ষতিকর বলে ধরে নিই, সেগুলি দীর্ঘ দিন ধরে একটু একটু করে মস্তিষ্কের পরিবর্তন ঘটায়।”
মস্তিষ্কের ভিতর বিভিন্ন অংশ এবং তার কার্যকারিতার সঙ্গে বাতাসে থাকা নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড এবং গ্রাউন্ড লেভেল ওজ়োনের যোগ রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কর্টেক্স অঞ্চলের কার্যকারিতার উপর প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাস এবং অ্যামিগডেলার উপরও যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। মাথার ভিতর এই দু’টি অংশ অনুভূতি এবং স্মৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
বহু দেশে ৯ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের স্নায়ুর নানা রকম সমস্যা দেখা যাচ্ছে। গবেষকেরা বলছেন, শিশু-কিশোরদের আচরণগত পরিবর্তনের জন্যও দায়ী বায়ুদূষণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy