ঋতুস্রাব চলাকালীন যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েন? কোন কাজগুলি ভুলেও করবেন না?
ঋতুস্রাবের দিনগুলিতে শারীরিক অস্বস্তি যেন পিছু ছাড়তেই চায় না! কখনও অত্যধিক রক্তপাত, কখনও বেজায় পেটে ব্যথা। তখন আবার পেটে গরম জলের সেঁক দিয়ে আরাম পাওয়া ছাড়া উপায় নেই। শরীরের পাশাপাশি, ক্লান্ত-বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে মনও। সেই ক’দিন ঘন ঘন মেজাজ হারাতে থাকেন মহিলারা। সব মিলিয়ে বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। তবে এই সময়ে কিছু কাজ করলে অস্বস্থি, যন্ত্রণা আরও বেড়ে যেতে পারে।
ঋতুস্রাব চলাকালীন কোন কোন কাজ এড়িয়ে চলাই ভাল?
১) মুখ চালাতে চিপ্স, নোনতা খাবার খেতে ইচ্ছে করছে? ঋতুস্রাবের সময়ে এই ধরনের খাবার খাবেন না। এমনিতেই ঋতুস্রাবের সময়ে শরীর বেশ ভারী ভারী লাগে। তার উপর এই সব খেলে শরীরে জল জমতে পারে। অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে।
২) রাত জাগার অভ্যাস আছে? ঋতুস্রাবের দিনগুলিতে কিন্তু রাত না জাগাই ভাল। একটু আগেই শুয়ে পড়ুন। এতে শরীরের ধকল আর ঋতুস্রাবজনিত অস্বস্তি কমবে।
৩) ঋতুস্রাব হয়েছে বলে শরীরচর্চা বন্ধ রেখেছেন? এতে কিন্তু আরও শরীর খারাপ হতে পারে। বরং এই সময়ে হালকা শরীরচর্চা করলে ঋতুস্রাবজনিত ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
৪) ঋতুস্রাবের দিনগুলিতে ভুলেও দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। যেহেতু এই সময়ে শরীর থেকে বেশ খানিকটা রক্ত বেরিয়ে যায়, তাই এ সময়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। কম খাওয়া বা না-খাওয়ার ভুল একেবারেই করবেন না। তবে এ সময়ে চিনিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫) ঋতুস্রাবের সময়ে খুব বেশি দই, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার না খাওয়াই ভাল। এর ফলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দিতে পারে।
৬) ধূমপানের অভ্যাস থাকলে এই সময়ে না করাই শ্রেয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা অতিরিক্ত ধূমপানে আসক্ত তাঁদের অধিকাংশই ঋতুস্রাব চলাকালীন তীব্র যন্ত্রণায় ভোগেন।
৭) এই সময়ে কফি কিংবা ক্যাফিনযুক্ত পানীয় না খাওয়াই ভাল। কফি বেশি খেলে শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হয়। ঋতুস্রাবের সময়ে কফি খেলে মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy