ছবি: প্রতীকী
স্বাস্থ্যের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন পরাগ। এই গরমেও নিয়মিত জিমে যান। সেখানে গিয়ে ঘাম না ঝরালে দিন শুরু হয় না তাঁর। একেবারে শুরুতে একটু অস্বস্তি হত। ঘামের গন্ধে, সকলের ব্যবহার করা জিমের ‘সর্বজনীন’ ম্যাটে পিঠ ঠেকাতে কিন্তু অস্বস্তি বোধ হত। বেশ কিছু দিন বগলদাবা করে নিজের ম্যাট নিয়েও যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শুধু ম্যাট তো নয়, অন্যের ব্যবহার করা যন্ত্রের উপরেও তো শুয়ে পড়তে হয়। তার জন্য ত্বকে বেশ কিছু দিন র্যাশের সমস্যাও হয়েছিল। তবে বিশেষ পাত্তা দেননি পরাগ। কিছু দিন যেতে না যেতেই সব গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। ম্যাটের জায়গা হয়েছে গাড়ির ‘বুট’-এ। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের জায়গা, যেখানে জনসমাগম বেশি, সেখানে রোগের আনাগোনা থাকাও স্বাভাবিক। তা ছাড়া জিমের বা সেখানকার যন্ত্রপাতির পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলেও রোগের বাড়বাড়ন্ত হতে পারে।
জিম থেকে কী ধরনের রোগ শরীরে প্রবেশ করতে পারে?
১) ইম্পেটিগো
ত্বকের এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়াঘটিত সংক্রমণ হল এই ইম্পেটিগো। ত্বকের ছোট্ট জায়গায় প্রথমে লালচে দাগ হয়। তার পর সেখান থেকে তা সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগ সাধারণত এক জনের থেকে অন্যের শরীর থেকে ছড়িয়ে পড়ে।
২) রিংওয়ার্ম
কোনও এক জনের দেহ থেকে এই ছত্রাকজনিত সংক্রমণ অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে। জ্বালা করতে পারে।
৩) ফলিকিউলিটিস
ত্বকের উপর ব্রণের মতো ব্যাক্টেরিয়াজনিত এক প্রকার সংক্রমণ হয়। চুলকালে তা শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ফলিকিউলিটিস নির্মূল করা কিছু ক্ষেত্রে মুশকিল হয়ে পড়ে। দাগও থেকে যেতে পারে আজীবন।
৪) ইনফ্লুয়েঞ্জা
এই রোগ ভীষণ ছোঁয়াচে। জিমে একসঙ্গে অনেকে শরীরচর্চা করেন। ফলে কার শরীরে কী রোগ রয়েছে, তা বোঝা মুশকিল হয়। ঘাম, হাঁচি, কাশি বা শ্বাসের মাধ্যমে দ্রুত এক জনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে প্রবেশ করতে পারে এই রোগ।
৫) অ্যাথলিট্স ফুট
যাঁরা নিয়মিত জিমে যান, এই রোগের সঙ্গে তাঁরা খুবই পরিচিত। এই ছত্রাকঘটিত এই রোগ হলে পায়ের তলায় জ্বালার অনুভূতি হতে থাকে। এই সময়ে বার বার পায়ে হাত দিলে, পা থেকে সংক্রমণ হাতের মাধ্যমে দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy