মধু খেলে সারবে মুখের ঘা। ছবি : সংগৃহীত
শরীর ভাল রাখতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। থকথকে গাঢ় বাদামি রঙের এই মিষ্টি পদার্থটির গুণ অপরিসীম। মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, ভিটামিন, এনজাইম, যা বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করে শরীরকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও প্রতি দিন এক চামচ মধু খেলে ঠান্ডা লাগা, কফ, কাশি থেকে মিলবে দ্রুত মুক্তি। হজমের সমস্যা দূর করতে মধু খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। মধুর স্বাদ প্রাকৃতিক ভাবেই মিষ্টি। তাই মধুতে থাকা মিষ্টি উপাদান শরীরে শক্তি জোগায় ও শরীর কর্মক্ষম রাখে। শারীরিক দুর্বলতা দূর করে। এক কথায়, মধু শরীর-বান্ধব একটি প্রাকৃতিক উপাদান। মধু শরীরের নানান অসুস্থতা সামাল দেয়। এ সব ছাড়াও মধুর আরও অজানা কিছু উপকারিতা রয়েছে।
ঠান্ডা লাগা, কফ, কাশি ছাড়াও মধু আর কী কী কাজে লাগে?
১) ত্বকের ক্ষত সারাতে
অনেকেরই শুষ্ক ত্বকে খোসা ওঠা, অস্বস্তিকর লাল ভাব এবং চুলকানি দেখা যায়। মধু এবং ‘কোল্ড প্রেস’ অলিভ অয়েলের মিশ্রণ এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
২) সাইনাসের সমস্যায়
সাইনাস সংক্রান্ত সমস্যার কারণই হল আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং দূষণ। সংক্রমণের ফলে ভাইরাসগুলি সাইনাসগ্রন্থির পথ রুদ্ধ করে রাখে। বাতাস চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করে। শ্লেষ্মা জমে এবং আমাদের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে মধুতে প্রাকৃতিক ভাবে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল যৌগগুলি সংক্রমণ দূর করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৩) মুখের ভিতর ঘা হলে
মুখের ভিতর শ্লেষাঘটিত কোনও ঘা বা ক্ষত হলে, তা চট করে সারতে চায় না। কিছু খেতে গেলেই জ্বালা করে, ব্যথা করে। মধু হল প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক। তাই ঘা সারাতে ওষুধের উপর ভরসা না করে, মধু খেয়ে দেখুন।
৪) অনিদ্রায়
এখনকার প্রজন্মের কাছে রীতিমতো ‘ট্রেন্ড’-এ পরিণত হয়েছে রাতে না ঘুমনো। তার অবশ্য নানাবিধ কারণও থাকে। কিন্তু দীর্ঘ দিন সঠিক সময়ে না ঘুমোলে শরীর খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। পরবর্তীকালে ঘুমের ওষুধই ভরসা। তবে মধু এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। রাতে শুতে যাওয়ার আগে হালকা গরম দুধে এক চামচ মধু এবং এক চিমটে হলুদ এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy