নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে পারলে ওজন নিয়ে ভাবতে হয় না। তবে শরীরচর্চা আদতে বেশ পরিশ্রমের। স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে ভালবাসেন। শরীরচর্চায় এমন মগ্ন হয়ে পড়েন যে, শরীরের ভালমন্দও অনেক সময়ে চোখের আড়ালে চলে যায়। গ্রীষ্মের গরম হোক কিংবা বর্ষার ভ্যাপসা আবহাওয়া— শরীরচর্চায় সময়ে অতিরিক্ত ঘাম ঝরে অনেকেরই। ফলে শরীরে জলের পরিমাণ কমতে থাকে। শরীর আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। এই সময়ে উচিত শরীরচর্চা বন্ধ করে বিশ্রাম নেওয়া। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া। তা না করে উল্টে যদি ব্যায়াম করতে থাকেন, তা হলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু শরীর আর্দ্রতা হারিয়েছে, তা বুঝবেন কী ভাবে?
১) দীর্ঘ ক্ষণ ধরে ট্রেডমিলে হাঁটলে, ওজন তুললে এমনিতেই জল তেষ্টা পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তেষ্টার মাত্রা যদি বেশি হয়, তা হলে এক বার খেয়াল করা জরুরি। গলা, মুখের ভিতর যদি অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়, তা হলে বুঝতে হবে শরীরে জলের পরিমাণ কমে গিয়েছে। সে অবস্থায় ভারী শরীরচর্চা করলে মুশকিল হতে পারে।
২) শরীরচর্চার সময় বলে নয়, যে কোনও সময়ে টান ধরতে পারে পেশিতে। আর এই সমস্যার অন্যতম কারণ হল, শরীরে পর্যাপ্ত জলের অভাব। শরীরে জলের পরিমাণ যখন কমে যায়, তখনই এমন হয়। তাই শরীরচর্চার ফাঁকে হঠাৎ যদি পেশিতে খিঁচুনি অথবা টান ধরে, তা হলে সেই মুহূর্তে শরীরচর্চা বন্ধ করে দেওয়া জরুরি। না হলে কিন্তু চোট-আঘাতের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
৩) বুক ঢিপঢিপ, মাথা ঘোরা, চোখমুখে অন্ধকার দেখা— শরীরচর্চার সময়ে মাঝেমাঝেই এই উপসর্গগুলি দেখা দেওয়ার মানে শরীর অত্যধিক দুর্বল হয়ে পড়েছে। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলেই সাধারণত এমন হয়। বেশি দুর্বল লাগলে ব্যায়াম না করাই শ্রেয়।
আরও পড়ুন:
৪) কায়িক পরিশ্রম বেশি হলে মাথা যন্ত্রণা হওয়া স্বাভাবিক। এ ছাড়া শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলেও অস্বাভাবিক মাথা যন্ত্রণা হয়। ব্যায়ামের ফাঁকে হঠাৎ মাথাব্যথা শুরু হলে জল খেয়ে, বিশ্রাম নেওয়াই ভাল।
৫) বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্যে শরীরচর্চা করা বেশ কষ্টসাধ্য। পরিশ্রম বেশি হয়। কিন্তু অনেক সময়ে যতটা পরিশ্রম করার কথা, শরীর ঠিক ততটা করতে পারে না। জলের পরিমাণ কমে গেলে শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়তে থাকে। এমন হলে শরীরচর্চায় বিরতি নেওয়া প্রয়োজন।