Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Summer Worst Foods

৫ খাবার: গরমে সাময়িক তৃপ্তি দিলেও আদতে শরীরের জন্য ক্ষতিকর

গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে এমন কিছু পানীয় এবং খাবারের উপর ভরসা করতে হয়, যেগুলি স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু সাময়িক ভাবে স্বস্তি দেয় বলে প্রায়ই খাওয়া হয় সেই খাবারগুলি।

Symbolic Image.

স্বাস্থ্যকর মনে হলেও যেগুলি শরীরের পক্ষে ভাল নয়। ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৩ ১৯:৪৯
Share: Save:

গরমে অস্থির প্রাণ। যত দিন যাচ্ছে গ্রীষ্মের পারদ ক্রমশ চড়ছে। বাইরে বেরোলেই তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। দরদর করে ঘাম হওয়া ছাড়াও শারীরিক অস্বস্তি তো আছেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোদ কমলে বাইরে বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু পেশার প্রয়োজনে রোদ মাথায় নিয়েই বাইরে বেরোতে হয় অনেককেই। আর গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে এমন কিছু পানীয় এবং খাবারের উপর ভরসা করতে হয়, যেগুলি স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু সাময়িক ভাবে স্বস্তি দেয় বলে প্রায়ই খাওয়া হয় সেই খাবারগুলি।

বরফগোলা

কাঠফাটা রোদে লাল, নীল, গোলাপি রঙের বরফগোলা দেখলেই মনটা নেচে ওঠে। স্কুলফেরত কিশোর কিংবা ৫০-এর প্রৌঢ়া, গরমে গোলা দেখলে উপেক্ষা করে চলে যেত পারেন না কেউই। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বরফগোলা শরীরের পক্ষে খুব একটা উপকারী নয়। বরফ খেলে ঠান্ডা লেগে গলাব্যথা, জ্বর আসার আশঙ্কা তো আছেই। সেই সঙ্গে পেটখারাপও হতে পারে। কারণ গোলায় ব্যবহৃত বরফ সব সময়ে সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা হয় না। এতে যে রং ব্যবহার করা হয়, সেগুলিও পেটের গোলমাল ডেকে আনতে পারে।

Symbolic Image.

আইসক্রিম ঠান্ডা হলেও, আদতে শরীর গরম করে দেয়। ছবি: সংগৃহীত।

লেবুর জল

গ্রীষ্মের দুপুরে তেষ্টা মেটাতে রাস্তার ধারের লেবুর জলে চুমুক দেন অনেকেই। টক-মিষ্টি স্বাদের এই পানীয় সাময়িক তৃপ্তি দেয় বটে। কিন্তু এই ধরনের পানীয় খেলে পেটের গোলমালের আশঙ্কা থাকে। যে জল দিয়ে লেবুর শরবত বানানো হয়, সেই জল সব সময়ে পরিশ্রুত হয় না। ফলে পেটখারাপের একটা আশঙ্কা থেকেই যায়।

আইসক্রিম

গরমে অনেকের বাড়িতেই ফ্রিজ ভর্তি আইসক্রিম থাকে। অফিস থেকে ফিরে হোক কিংবা গ্রীষ্মের ছুটির দুপুরে ভরপেট খেয়ে, আইসক্রিম খেলে স্বস্তি পায় মন এবং শরীর। কিন্তু সেটা সাময়িক। আইসক্রিম ঠান্ডা হলেও, আদতে শরীর গরম করে দেয়। গ্রীষ্মে শরীর এমনিতেই তেতে থাকে। তার উপর আরও বেশি গরম হয়ে গেলে মুশকিল হতে পারে।

কাটা ফল

তরমুজ, পেঁপে, আনারস, আঙুর, পেয়ারা— গ্রীষ্ম বলে নয়, সারা বছর রাস্তার ধারে ঠেলাগাড়িতে কাটা ফল বিক্রি হতে দেখা যায়। অনেকেই এই ফল খান। ফল খাওয়া নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। কিন্তু তাই বলে রাস্তার ধারের দোকান থেকে কাটা ফল কিনে না খাওয়াই ভাল। রাস্তার যাবতীয় ধুলোবালি ফলের গায়ে লাগে। ডায়রিয়া, পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে যার ফলে। তা ছাড়া দীর্ঘ ক্ষণ আগে কেটে রাখা ফল খাওয়ার কোনও উপকারিতা নেই। কারণ, ফলের গুণমান তাতে নষ্ট হয়ে যায়।

রঙিন পেপসি

কৈশোরে স্কুলের টিফিনের ঘণ্টা পড়তেই পেপসির গাড়ির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ত সকলে। ভিড় ঢেলে পছন্দের স্বাদের পেপসি কিনতে পারলেই মুখে ফুটে উঠত বিজয়ীর হাসি। এই দৃশ্য এখন আর অবশ্য তেমন দেখা যায় না। কিন্তু তা-ও গরম পড়লে অনেকেই পেপসির খোঁজ করেন। পেপসি খেলে ছোটবেলাটা ফিরে পাওয়া যায় ঠিকই। কিন্তু শরীরের উপর এর খারাপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। যে রং দিয়ে পেপসি বানানো হয়, সেগুলির মধ্যে রাসায়নিক মিশ্রিত থাকে। ডায়রিয়া, পেটের গোলমাল হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Summer Drinks Food Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE