খাওয়াদাওয়ায় কিছু বদল আনলেই লিভারের অসুখের ঝুঁকি কমতে পারে।
আধুনিক জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম বা প্রয়োজনীয় শারীরিক কসরতের অভাবে যে সব অসুখ সহজেই শরীরে বাসা বাধে, তার মধ্যে অন্যতম ফ্যাটি লিভার। অল্প বয়েসেও এই রোগ বাসা বাধতে পারে শরীরে। সহজে এই অসুখের লক্ষণ বোঝার উপায়ও নেই।
লিভারে মাত্রাতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেরই ধারণা, কেবলমাত্র মদ্যপানের অভ্যাসের কারণেই এই অসুখ হয়। কিন্তু এ ধারণা একেবারে ঠিক নয়। ফ্যাটি লিভার দুই ধরনের হয়। অ্যালকোহলিক ও নন-অ্যালকোহলিক। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান থেকে লিভারে চর্বি জমলে তা অ্যালকোহলিক ফ্যাট। কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রটি মূলত খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত তেল, ফ্যাট জাতীয় উপাদান বেড়ে গেলে হয়। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার আবার বংশগত কারণেও হতে পারে।
খাওয়াদাওয়ায় কিছু বদল আনলেই লিভারের অসুখের ঝুঁকি কমতে পারে। গরমের দিনে আপননার খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখতেই পারেন, যা লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য বেশ উপকারী।
আঙুর: আঙুরে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি লিভার থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বার করে দিতে বেশ উপকারী। লিভারে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়।
লেবু: ভিটামিন সি-তে ভরপুর লেবু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের বর্জ্যপদার্থগুলি বার করে দিতে এটি দারুণ উপকারী। গরমের দিনে শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে লেবু খাওয়া যেতে পারে। লিভার সুস্থ রাখতে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় লেবু রাখুন।
সজনে ডাটা: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই সব্জির ঝুড়ি মেলা ভার। সজনে ডাটা হজমশক্তি বাড়ায়, রক্ত পরিস্রুত করে। বিভিন্ন গবেযণায় দেখা গিয়েছে সজনে ডাটা লিভার ফাইব্রোসিস রোগের ঝুঁকি কমায়।
দই: দই প্রোবায়োটিকের দারুণ উৎস। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লিভারে জমে থাকা ফ্যাট ঝরাতে দই সাহায্য করে। গরমের দিনে খাদ্যতালিকায় দই রাখলে হজম ক্ষমতা বাড়ে। পেটও পরিষ্কার থাকে।
গ্রিন টি: মেদ ঝরাতে গ্রিট টি-র উপর ভরসা রাখেন অনেকেই। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর গ্রিন টি লিভারের চারপাশে মেদ জমতে দেয় না। লিভার সুস্থ রাখতে রোজের খাদ্যতালিকায় গ্রিন টি রাখতেই পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy