—প্রতীকী ছবি।
শুক্তো থেকে মাছের ঝোল, সবেতেই কাঁচকলা জরুরি। আবার নিরামিষ রান্নায় কাঁচকলার কোপ্তা খেতে ভালবাসেন না, এমন খাদ্যরসিক পাওয়া ভার। তবে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের ভয়ে কাঁচকলা খেতে চান না। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন পরিমিত পরিমাণে কাঁচকলা খেলে শরীরে ভিটামিন এবং খনিজের অভাব হয় না। যাঁরা ওজন ঝরানোর চেষ্টায় ব্রতী হয়েছেন, তাঁদের জন্য কাঁচকলা যথেষ্ট কার্যকরী। এ ছাড়াও কাঁচকলার আরও নানা গুণ রয়েছে।
১) কাঁচকলাতে ‘ফেনলিক’ নামক রাসায়নিকের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এই ‘ফাইটোকেমিক্যাল’টি পাকস্থলী এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
২) অনিয়ন্ত্রিত হৃদ্স্পন্দনের সমস্যা থাকলে, পরিমিত পরিমাণে কাঁচকলা খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কারণ, কাঁচকলায় পটাশিয়ামের মাত্রা অনেকটাই বেশি। এই উপাদানটি হৃদ্যন্ত্রের পেশি সচল রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে।
৩) কাঁচকলায় রয়েছে ‘পেকটিন’ এবং স্টার্চ। কাঁচকলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মান ৩০। খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা রুখে দিতে পারে কাঁচকলা।
৪) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর কাঁচকলা ফ্রি র্যাডিক্যাল্স এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত ক্ষতির হাত থেকে কোষগুলিতে সুরক্ষিত রাখে। ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন এবং জ়িজ়ানথিন এবং লুটেইন নামক ফাইটোনিউট্রিয়েন্টগুলি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৫) কাঁচকলায় রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন সি, বি ৬, এ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং জ়িঙ্কের মতো জরুরি কিছু উপাদান। নিয়মিত কাঁচকলা খেলে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণও বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy