ঘিয়ের গুণেই স্বাস্থ্য হবে চাঙ্গা। ছবি: শাটারস্টক।
গরম ভাতের সঙ্গে এক চামচ ঘি— এমন অনেকেই আছেন যাঁরা ঘি দিয়েই পুরো ভাত মেখে খেয়ে ফেলতে পারেন। ঘি শুধু স্বাদে এবং গন্ধে অতুলনীয় নয়, স্বাস্থ্যগুণও অনেক। ঘিয়ে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, খনিজ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা়ড়িয়ে তোলে, শরীরের প্রতিটি পেশি শক্তিশালী করে, মেদ ঝরায়, হাড় মজবুত করে, শরীরের প্রতিটি কোষ সচল রাখে। এক চামচ ঘি কিন্তু জীবন বদলে দিতে পারে। সুস্থ থাকতে তাই ঘি হতে পারে অন্যতম ভরসা।
পায়েস হোক কিংবা বিরিয়ানি— রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতে ঘিয়ের জুড়ি নেই। তবে তার মানে এই নয় যে, ঘি দিয়ে রান্না করা খাবার খেলেই সুস্থ থাকা সম্ভব। ইচ্ছে মতো ঘি খেলেই চলবে না। খেতে হবে নিয়ম মেনে। তবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমবে। জেনে নিন কী ভাবে ঘি খেলে শরীরের উপকার হবে।
১) কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন? আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী জ্বরের সময়ে এক কোয়া রসুনের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
২) শরীরে রক্তাল্পতার সমস্যা হলেও ঘি খেলে উপকার পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ত্রিফলার গুঁড়োর সঙ্গে ঘি মিশিয়ে নিয়মিত খেতে হবে।
৩) যাঁরা ল্যাকটোজজাতীয় খাবার অর্থাৎ দুধ, ছানা, দই খেতে পারেন না, তাঁদের কিন্তু রোজ অন্তত ১ চামচ করে ঘি খাওয়া উচিত। ক্যালশিয়ামের ঘাটতিতে ভুগতে হবে না তবে।
৪) হজম ক্ষমতা শক্তিশালী করতে ঘি উপকারী। ঘিয়ে থাকা বাইটিরিক অ্যাসিড হজমক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে ঘি খেলে হজমের সমস্যা হয়, এ কথা মোটেই ঠিক নয়। বরং হজমক্ষমতা উন্নত করতে ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। এ ক্ষেত্রে রাতে গরম দুধে এক চামচ ঘি মিশিয়ে নিয়মিত খেতে পারেন।
৫) ঘি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর, যা পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই বলাই যায় ঘি ওজন বাড়াতে নয়, ওজন ঝরাতে কার্যকর। রান্নায় তেলের বদলে ঘি ব্যবহার করতে পারেন। তবে কতটা ঘি খেলে শরীরের ক্ষতি হবে না, তা পুষ্টিবিদের থেকে যাচাই করে নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy