ইউরিক অ্যাসিড ইতিমধ্যেই বাড়ির মা-কাকিমাদের কব্জা করে ফেলেছে। হাঁটুর ব্যথায় তাঁদের হাঁটাচলা প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড়। ইউরিক অ্যাসিডের যন্ত্রণা মাঝেমাঝেই ভীষণ অসহনীয় হয়ে ওঠে। ওষুধ খেয়েও তখন স্বস্তি পাওয়া যায় না। ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে খাওয়াদাওয়ায় বড় বদল আসে। প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়ার পাশাপাশি তেল-মশলাও বাদ দিতে হয় জীবন থেকে। তবে কিছু খাবার অ্যাসিডের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়। পুজোর আগে সেই খাবারগুলি থেকে দূরে থাকুন।
কোন কোন খাবার খাবেন না?
১) রুটি এবং ভাত এই উভয়ের মধ্যেই থাকে। আর তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ময়দা, চাল, চিনি, ব্রেড, কুকিজ, কেক এসব এড়িয়ে যেতে হবে।
২) সামুদ্রিক মাছের মধ্যে পিউরিন বেশি পরিমাণে থাকে। সামুদ্রিক কাঁকরা, চিংড়িও না খাওয়াই উচিত।
আরও পড়ুন:
৩) মদ্যপান কমাতে হবে। নিয়মিত মদ্যপান করলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে বাধ্য।
৪) ইউরিক অ্যাসিডে যদি লাগাম পরাতে হয়, তাহলে প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া ছাড়তে হবে। দোকান থেকে কেনা বার্গার, সসেজ়, পিৎজ়া রোজ খেতে শুরু করলেই বিপদ।
৫) অনেকেই হয়তো জানেন না, তেঁতুল বাড়িয়ে দিতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল স্বাস্থ্যকর হলেও ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য উপকারী নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলে ফ্রুক্টোজ়ের পরিমাণ রয়েছে ১২.৩১ গ্রাম। যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণে বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
৬) নরম পানীয়, বেশি চিনি দেওয়া পানীয় না খাওয়াই উচিত। বাজারচলতি হেলথ ড্রিঙ্কসও না খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা।
৭)ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের মাশরুম না খাওয়াই শ্রেয়। মাশরুমে ভাল মাত্রায় পিউরিন থাকে। যা ভেঙে গিয়ে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।