ঘিয়ের এত গুণ থাকা সত্ত্বেও কয়েকটি ক্ষেত্রে কিন্তু ঘি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
পদ্মার ইলিশ আর পাবনার ঘি
জামাইয়ের পাতে দিলে আর লাগে কী?
ঘি নিয়ে এ রকম বিভিন্ন প্রবাদ প্রচলিত আছে। শুধু মুখের কথাতেই নয়, কাজের ক্ষেত্রেও ঘি অত্যন্ত উপকারী। নানা ভাবে শরীরের যত্ন নেয় ঘি। ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর প্রতিবেদন অনুসারে সর্দি-কাশি কমাতে, শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার।
চিকিৎসকদের মতে, শীতকাল ঘি খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলেও সারা বছরই ঘি খাওয়া যায়। পরিমাণ মতো খেলে ঘি হয়ে উঠতে পারে সুস্বাস্থ্যের ভিত্তি। ঘি শরীর উষ্ণ রাখতে বেশ কার্যকরী। ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে সমৃদ্ধ ঘি দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। গ্যাস ও হজমের সমস্যা দূর করে ঘি। খিদে বাড়ায়। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতেও দারুণ কাজ করে। ঘি খেলে যে কোনও রকম ক্ষত দ্রুত শুকিয়ে যায়। শরীরের পাশাপাশি ঘি ত্বকের যত্নেও দারুণ কাজ করে। ঘিয়ের এত গুণ থাকা সত্ত্বেও কয়েকটি ক্ষেত্রে কিন্তু ঘি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। ঘি এড়িয়ে চলবেন কারা?
১) ঘি ভারী খাবার। ফলে সহজে হজম হতে দেরি হয়। দীর্ঘ দিন ধরে বদহজম, পেটের গোলমাল, আইবিএস-এর মতো সমস্যায় ভুগে থাকলে ঘি না খাওয়াই ভাল।
২) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশি ঘি খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এই সময় ঘি খেলেও বুঝেশুনে খাওয়া প্রয়োজন।
৩) লিভার সিরোসিস, স্পেলনোমেগালি, হেপাটোমেগালি, হেপাটাইটিসের মতো লিভার সংক্রান্ত রোগে ভুগে থাকলে ঘি খাওয়া ঠিক হবে না। এতে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy