পুজোয় যত্ন নিন হৃদ্য়ের। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো মানেই রাত জেগে ঠাকুর দেখা, ভূরিভোজ, বাহারি খাবারের স্বাদ নেওয়া। পুজোর চার দিন অনিয়মই সঙ্গী। পুজোর সময়ে নিয়ম মানতে গেলে উৎসবের আমেজটাই নষ্ট হয়। কিন্তু দেদার বাইরে খাওয়া আর হুল্লোড়ের মাঝেও শরীরের যত্ন নেওয়ার কথা ভুলে গেলে চলবে না। বিশেষত হার্টের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, উৎসবের মরসুমেও তাঁদের নিয়ম না মেনে উপায় নেই। হার্টের সমস্যা থাকলে সারা বছর যে কঠিন নিয়ম মেনে চলতে হয়, পুজোর সময় তা খানিকটা শিথিল হতে পারে বটে। কিন্তু নিয়ম থেকে দূরে গিয়ে নয়, সুস্থ থাকার উপায় বদলে ফেলে।
ইদানীং কম বয়সিদের মধ্যেও হার্টের সমস্যা নতুন নয়। শরীরচর্চা, সুষম খাবার খাওয়া, পরিশ্রম কম করা এ ক্ষেত্রে সুস্থ থাকার অন্যতম উপায়। তবে পুজোর সময়ে সব নিয়ম মেনে চলা সম্ভব হয় না। হার্ট ভাল থাকে পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেলে। গবেষণা জানাচ্ছে, যাঁরা পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে। তাই হার্টের অসুখের রোগীদের পুজোয় পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কী খাবেন?
বাজারচলতি সাপ্লিমেন্ট ফুড খাওয়ার বদলে খুব সহজেই আপনার ডায়েটের রাখতে পারেন এমন খাবার যা পটাশিয়ামে ভরপুর। অ্যাপ্রিকট, অ্যাভোকাডো, দই, দুধ, আঙুর, সবুজ শাকসব্জি, মাশরুম, কমলালেবু, কড়াইশুঁটি, আলু, কিশমিশ, টোম্যাটো, কলা, ভাত বেশি করে খান। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার একান্ত জরুরি। পটাশিয়াম যুক্ত খাবার খেলে তা শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমায়। এ ছাড়াও, শিরা ধমনীতে চাপ কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পটাশিয়াম জরুরি। তবে খাবারে যে কোনও মৌল বেশি থাকলে তৈরি হতে পারে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা। অতিরিক্ত পটাশিয়াম ডায়েটে থাকলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। পেটের সমস্যা, নাড়ি স্পন্দনের হার কমে যাওয়া এবং মাথাঘোরার উপসর্গ নিয়মিত দেখা গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অনেক সময়েই রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে এ ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy