রিচা চড্ডা। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও দক্ষ অভিনেত্রী। ছিপছিপে হওয়া বা 'ডিভা' হয়ে ওঠার দিকে কোনও দিকে মন ছিল না তাঁর। তিনি ‘মাসান’, ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’-এর মতো বহু ছবিতে অভিনয় করে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছেন। নায়িকা বলেই যে শরীরের আদল বদলে ফেলতে হবে, এমন ধারণা তাঁর নেই। কিন্তু তার পরও ২০২২ সালে মাত্র তিন মাসে প্রায় ১৫ কেজি ওজন কমিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছিলেন রিচা। তবে সৌন্দর্যের যে সামাজিক মানদণ্ড, তাতে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করা এই সিদ্ধান্তের নেপথ্য কারণ নয়। রিচা জানিয়েছেন, এই পরিবর্তন সৌন্দর্যের জন্য নয়, বরং নিজের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্যই।
নতুন যুগের ডায়েটের শত শত প্রকারভেদকে নাকচ করেছেন রিচা। কেবল ভাল খাওয়াদাওয়া আর শরীরচর্চার উপর নির্ভরশীল তিনি। যাতে তাঁর রাস্তা দীর্ঘমেয়াদি হয়। ‘ক্র্যাশ ডায়েট’-এর বদলে তিনি সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ভাল ঘুম এবং পরিমিত খাবারের রুটিন মেনে চলেছিলেন। তাঁর খাদ্যতালিকায় ছিল টাটকা শাকসব্জি, ফল, লিন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং সম্পূর্ণ অ-প্রক্রিয়াজাত খাবার। পরিমাণ মেপে খাওয়াই ছিল তাঁর প্রধান নীতি। রিচা নজর রাখতেন, যাতে অতিরিক্ত খাওয়া না হয়। পাশাপাশি, ঘাম ঝরানোর জন্য কেবল জিমের ভরসায় থাকেননি রিচা। তার চেয়ে বরং কত্থক নৃত্য অনুশীলন করে তিনি মানসিক শান্তিও পেয়েছেন। তা ছাড়া শক্তিবৃদ্ধির ব্যায়াম, যোগাসন, কার্ডিয়ো ইত্যাদিও ছিল রুটিনে।
স্বামী আলি ফজ়লের সঙ্গে রিচা চড্ডা।
রিচা জানান, ওজন কমিয়ে ফেলার আগে তাঁর দেহের গড়ন যেমন ছিল, তাতেও তিনি খুশি ছিলেন। কিন্তু তিনি সামগ্রিক ভাবে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ভাল ঘুম, সক্রিয় থাকা, ব্যায়াম করা ইত্যাদিকে গুরুত্ব দেন। আর সেগুলি নিয়মিত করলেই ওজন কমতে বাধ্য।
আরও পড়ুন:
রিচা মনে করেন, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ঘুমের অবদান রয়েছে। তাই ঘুমের মান উন্নত করা ছিল তাঁর অন্যতম উদ্দেশ্য। অতিরিক্ত ব্যায়ামও তিনি করতেন না। কারণ, তাতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।