মুখ হল মনের আয়না। মনের ভিতর কোনও সমস্যা হলে তার ছাপ পড়ে মুখে। ত্বক জেল্লা হারায়, চোখের তলায় কালি পড়ে। কিন্তু ব্রণ? সে তো বয়ঃসন্ধির সঙ্গী। মানসিক চাপের সঙ্গে তার আদৌ কোনও যোগ রয়েছে?
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকেরা বলছেন, আছে। শরীরে ‘কর্টিজ়ল’ হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে মুখ ভরে উঠতে পারে ব্রণতে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা অবসাদ বৃদ্ধি পেলে এই হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ইয়েল স্কুল অফ মেডিসিনের চর্মরোগ বিভাগের চিকিৎসক মোনা গোয়ারা বলেন, “কর্টিজ়লের পরিমাণ বাড়তে থাকলে সেবাম ক্ষরণও বেড়ে যায়। অত্যধিক তেল ত্বকের রন্ধ্র বা ছিদ্র বুজিয়ে দেয়। সেখানেই ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়ারা বাসা বাঁধে।” এমনকি কয়েক রাত না ঘুমোলেও একই রকম সমস্যা হতে পারে। ঋতুস্রাব হওয়ার আগে হরমোনের হেরফের হয়। আবার, গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক বেশি এমন খাবার খেলেও কিন্তু ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
মুখের কোন কোন অংশে ‘স্ট্রেস অ্যাক্নে’ হতে পারে?
চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখের যে অংশে তেল বা সেবাম ক্ষরণ বেশি হয়, সেখানে ব্রণ হতে পারে। অনেকের কপাল, নাকের দু’পাশ এবং থুতনির আশপাশে তৈলাক্ত ভাব বেশি থাকে। মানসিক চাপে সেই তেলতেল ভাব আরও বৃদ্ধি পায়। ফলে এই সব জায়গা ব্রণ-প্রবণ হয়ে ওঠে।
কী করলে সমস্যার সমাধান হবে?
আগে জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুমেরও প্রয়োজন রয়েছে। ‘স্ট্রেস অ্যাকনে’ দূর করতে শারীরিক কসরত এবং মানসিক শান্তি দুই-ই গুরুত্বপূর্ণ।