ওজন কমাতে দেদার ওট্স, ডালিয়া বা কিনোয়া খেয়ে অরুচি ধরে গিয়েছে? স্বাদ বদলাতে ভুলেও ময়দার লুচি-পরোটা অথবা পিৎজ়া-বার্গার-সালামিতে ফিরে যাবেন না। তার চেয়ে মিলেট বা রাগি খেয়ে দেখতে পারেন। গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকলে গমের আটা বা ময়দা খাওয়া একেবারেই চলবে না। সে ক্ষেত্রে বিকল্প হিসাবে জোয়ার, বাজরা বা রাগি খাওয়া যেতে পারে। রাগি এমন এক দানাশস্য, যাতে প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার ভরপুর মাত্রায় রয়েছে। রাগি সহজপাচ্য এবং খেলে ওজনও দ্রুত কমে।
রাগি দিয়েও বিভিন্ন সুস্বাদু পদ হয় যা খেলে অরুচি কেটে যাবে। রাগিতে ফাইবার বেশি থাকে বলে, সকালের জলখাবারে খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে এবং ভাজাভুজি, মুখরোচক খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কমে যায়।
জলখাবারে কী কী খেলে ওজন কমবে?
রাগির পরিজ
গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকলে কাঠবাদামের দুধে পরিজ় বানাতে পারেন। ১ কাপ রাগির আটা এক কাপ কাঠবাদামের দুধে মিশিয়ে নিন। ভাল করে ফুটিয়ে মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে তাতে আধ চা-চামচ দারচিনির গুঁড়ো ও ১ চা-চামচগুড় বা মধু মিশিয়ে দিতে পারেন। এ বার গ্যাস বন্ধ করে নামিয়ে নিয়ে উপরে ড্রাই ফ্রুটস ছড়িয়ে খেতে পারেন।
আরও পড়ুন:
রাগির ইডলি
এর জন্যও লাগে রাগির আটা, সুজি, দই, মুগ ডাল বাটা, নারকেল কোরা, কারি পাতা। রাগি আটা, সুজি, ডাল বাটা দই একসঙ্গে মেখে নিতে হবে।নুন,চিনি আর প্রয়োজন হলে অল্প জল দিয়ে ঘন করে মেখে নিয়ে ইডলি স্ট্যান্ডে সামান্য তেল ব্রাশ করে ওই মিশ্রণ দিতে হবে। এর পর প্রেসার কুকারে জল নিয়ে ইডলি স্ট্যান্ড বসিয়ে ভাপিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে রাগির ইডলি। খুবই পুষ্টিকর। ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায় এটি প্রাতরাশে খেলে ওজনও বাড়বে না।
রাগিতে আয়রন, ক্যালশিয়াম, প্রোটিন-সহ বেশ কিছু খনিজ রয়েছে, যা শুধু ওজন কমায় না, রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। চিকিৎসকের কথায়, রাগিতে ফাইবারের পরিমাণও অনেকটাই বেশি। এই ফাইবার অন্ত্রের জন্য ভাল। এ ছাড়াও, রাগিতে ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট’ নেই বললেই চলে। ফলে শরীরে বাড়তি মেদ জমার কোনও আশঙ্কাই থাকে না রাগি খেলে। রাগিতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, রাগিতে থাকা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ লিভারে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়। ফলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁরা রাগি খেলে অনেক উপকার পাবেন।