Advertisement
E-Paper

কালীপুজোয় মিষ্টি খেয়ে ক্যালোরি বাড়িয়েছেন, কতটা হাঁটলে বাড়তি ক্যালোরি পুড়বে?

মিষ্টি দেখলে লোভ সামলানো যায় না। খেয়ে ফেলার পরে মন খুঁতখুঁত করে, কী ভাবে এতটা ক্যালোরি ঝরবে। তার সহজ সমাধান কিন্তু রয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:০১
কতটুকু হাঁটলে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরবে, উৎসব-পরবর্তী স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে জেনে রাখুন।

কতটুকু হাঁটলে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরবে, উৎসব-পরবর্তী স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে জেনে রাখুন। ছবি: ফ্রিপিক।

কালীপুজো-দীপাবলিতে প্রচুর মিষ্টি খেয়ে ওজন বেড়ে গিয়েছে। অতিরিক্ত ক্যালোরি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। তবে সহজেই কিন্তু ক্যালোরি ঝরানো যায়। তার জন্য জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর প্রয়োজন নেই। বরং সকাল-সন্ধ্যায় হাঁটাহাঁটি করলেই হবে। কতটা হাঁটলে বাড়তি ক্যালোরি ঝরবে তা জেনে রাখা ভাল।

জিমে যাওয়ার সময় যাঁদের নেই, অথবা ট্রেডমিলে দৌড়তে আলস্য লাগে, তাঁদের জন্য প্রাতঃভ্রমণ আদর্শ। প্রযুক্তির কল্যাণে অফিস‌ যেমন উঠে এসেছে ড্রয়িং রুমে, লিফট যেমন কেড়ে নিয়েছে ধীর পায়ে উপরে ওঠার সিঁড়ি, তেমনই পায়ে হাঁটার বদলে লোকজন এখন টোটো, রিকশাতে চড়তেই বেশি অভ্যস্ত। হাঁটার একান্ত প্রয়োজন হলে ঘরে ট্রেডমিলে হাঁটেন। কিন্তু সকালে তাজা হাওয়ায় যদি খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটা যায়, তা হলে তার থেকে ভাল ব্যায়াম আর কিছু হয় না। আসলে হাঁটার উপকারিতা এতটাই যে, শুধু হেঁটেই দূরে রাখা যায় বিভিন্ন অসুখবিসুখ। শুরুতে ১০ মিনিট টানা হাঁটার চেষ্টা করুন। তার পর সময় বাড়ান ধীরে ধীরে, শরীর বুঝে। ১০ মিনিট থেকে ১৫ মিনিট, তার পর ২০ মিনিট, শরীর ঝরঝরে লাগতে শুরু করলে ৩০ মিনিট।

খুব ধীর গতিতে হাঁটলে হাঁটার উপকার সঠিক ভাবে পাওয়া যায় না। তার চেয়ে একটু জোরে হাঁটাই ভাল। তবে খেয়াল রাখতে হবে, হাঁটাটা যেন দৌড়নো না হয়ে যায়। স্বাভাবিক গতির চেয়ে দ্রুত গতিতে হাঁটার নাম হল ‘পাওয়ার ওয়াকিং’। অর্থাৎ, এমন ভাবে হাঁটতে হবে যাতে ঘাম ঝরে। তবেই ক্যালোরি ঝরবে। একটানা দ্রুত গতিতে হাঁটলেন মিনিট চারেক। তার পর হাঁটার গতি কমিয়ে দিলেন। মিনিট দুয়েক এই ভাবে হাঁটলেন। শরীরের অবস্থা বুঝে আবার গতি বাড়িয়ে দিলেন। একে বলে 'ইন্টারভাল ওয়াকিং'। এ ভাবেও হাঁটতে পারেন।

প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে। শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতেও হাঁটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। হাঁটলে মনও ভাল থাকে। মানসিক চাপ কমে। হাত ও পায়ের পেশি সচল থাকে, ফলে অস্থিসন্ধির ব্যথাবেদনাও কমে যায়।

Calorie Count Fitness Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy