হাঁটার উপকারিতা। ছবি: সংগৃহীত।
রবীন্দ্র সরোবর থেকে চাঁদনি— নিত্য দিন এই পথেই যাতায়াত করতে হয় সৌমিলিকে। মেট্রো থেকে নেমে হেঁটে অফিস পৌঁছতে সময় লাগে মিনিট দুয়েকের মতো। সকাল ৯টায় বেরিয়ে আবার বাড়ি পৌঁছতে প্রায় রাত ৯টা বেজে যায়। তার পর আর শরীরচর্চা করতে ইচ্ছে করে না। এ দিকে, ৮ ঘণ্টা বা তার বেশি সময়ে চেয়ারে বসে কাজ করে কোমর-পিঠে বেশ ব্যথা অনুভব করেন। কোমর নিচু করে জুতোর বেল্ট বাঁধতে কষ্ট হয় ইদানীং। তাই তিনি ঠিক করেছেন চাঁদনি নয়, এ বার থেকে একটা স্টেশন আগেই মেট্রো থেকে নেমে পড়বেন। তার পর বাকি রাস্তাটুকু হেঁটেই আসার চেষ্টা করবেন। তাতে ওজন যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমন কোমর-পিঠের ব্যথাও কমবে। তবে, চিকিৎসকেরা বলছেন, শুধু শরীর নয়, হাঁটলে ভাল থাকে মনও। সারা দিনে কিছুটা সময় হাঁটাহাটি করলে মন এবং মস্তিষ্ক দুই-ই ভাল থাকে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে হাঁটার মধ্যেই।
হাঁটার সঙ্গে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার যোগ কোথায়?
১) নিয়মিত হাঁটলে ‘স্ট্রেস হরমোন’ অর্থাৎ, কর্টিজ়ল ক্ষরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি, এন্ডরফিন অর্থাৎ, আনন্দের হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। যা মন-মেজাজ ফুরফুরে রাখার পাশাপাশি উদ্বেগও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২) নিয়মিত হাঁটলে এক ধরনের সচেতনতা তৈরি হয়। হাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার অভ্যাস তৈরি হলে তা ফুসফুসের জন্যেও ভাল। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছলে মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর হয়।
৩) নিয়মিত হাঁটলে ঘুমের মান ভাল হয়। ঘুমের মধ্যে দিয়েই শরীরে যাবতীয় ক্ষতয় প্রলেপ পড়ে। জীবনে চলার পথে প্রতি দিন কোনও না কোনও ঝড়ের মুখে পড়তেই হয়, সেই সবের মোকাবিলা করতে গেলে শরীর এবং মন সুস্থ থাকা প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy