Advertisement
E-Paper

বর্ষার মরসুমেও শরীরে জলের অভাব হতে পারে, সন্তানকে সুস্থ রাখতে কোন অভ্যাস জরুরি?

দৌরাত্ম্যে খামতি নেই, কিন্তু জল খেতেই যত সমস্যা। গরমের মতো বর্ষাতেও শরীরে জলের ঘাটতি হতে পারে। বিপদ এড়াতে কী ভাবে শিশুকে জল খাওয়াবেন?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৫ ১৩:৫২
বর্ষাতেও জলের ঘাটতি হতে পারে? কী   ভাবে সন্তানের খাদ্যতালিকায় জল জুড়বেন?

বর্ষাতেও জলের ঘাটতি হতে পারে? কী ভাবে সন্তানের খাদ্যতালিকায় জল জুড়বেন? ছবি: সংগৃহীত।

সূর্য মাথার উপরে। রোদের তাপে ঘেমেনেয়ে একশা। স্বাভাবিক ভাবেই জল তেষ্টা পায় তখন। কিন্তু বর্ষার মরসুমে, যখন বাতাসে যথেষ্ট আর্দ্রতা থাকে, তখন কি আর জল খাওয়ার কথা মনে হয়? শুধু শিশু নয়, এই ভুলটি করে বসেন বড়রা। খেলা, দস্যিপনা করতে গিয়ে শিশুদের জল খাওয়ার কথা মনেই হয় না। আর কাজের চাপে বা তেষ্টা না পাওয়ায় নিয়মমাফিক জল খান না বড়দের অনেকেও।

অথচ চিকিৎসকেরা বলছেন, জলশূন্যতা অনেক রকম অসুস্থতার কারণ হতে পারে। মাথাব্যথা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, প্রস্রাবের রঙের বদল, প্রস্রাব কমে যাওয়া, ক্লান্তিবোধ, ক্ষেত্র বিশেষে হৎস্পন্দন বেড়েও যেতে পারে শরীরের জলের অভাব হলে। শরীরে নানা রকম শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম হয়। তার জন্যই জলের প্রয়োজন। সেই কারণেই এক জন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষকে দিনে আড়াই থেকে-৪ লিটার জল খেতে বলা হয়। কোনও কারণে জল খাওয়ার পরিমাণ কমে গেলে সমস্যা হতে পারে।

কী ভাবে শিশুকে জল খাওয়াবেন?

খুদেকে জল খাওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দেবেন কী ভাবে?

খুদেকে জল খাওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দেবেন কী ভাবে?

ঘরে থাকুন বা বাইরে, কিছু ক্ষণ অন্তর জল খাওয়া দরকার। তবে চিকিৎসকেরা সাবধান করছেন, জল যেন পরিশোধিত হয়। বর্ষার মরসুমে রাস্তাঘাটের জল, শরবত থেকেও পেটের অসুখ ছড়াতে পারে। তাই সব সময় জল সঙ্গে রাখা দরকার।

· শিশুদের জল খাওয়ার গুরুত্ব তাদের মতো করে বোঝানো জরুরি। তবে ছোট থেকেই জল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললেও সুবিধা হবে। এক ঘণ্টা অন্তর অন্তর নিয়ম করে ছোটদের জল খাওয়ান। কয়েক দিন জোর করতে হলেও এক সময় তা অভ্যাস হয়ে যাবে।

· শিশুদের জল খাওয়ায় উৎসাহ দিতে আকর্ষণীয় বোতল, গ্লাসে জল ভরে রাখুন। গাড়ির মতো দেখতে জলের বোতল পাওয়া যায়। আবার হাঁসের মতো দেখতে বা গাড়ির মতো এমন জিনিসও পাওয়া যায় যার মাথায় জল ভরা থাকে। নীচে নির্দিষ্ট জায়গায় গ্লাস রাখলে জল পড়ে। এই ধরনের জিনিসগুলি শিশুদের জল খেতে উৎসাহিত করবে। তবে প্লাস্টিকের বোতল বা গ্লাস এড়িয়ে চলাই ভাল।

ফলেও জল থাকে: জলের ঘাটতি শুধুই জল খেয়ে পূরণ করতে হবে এমন কথা নেই। রকমারি ফলেও জল থাকে। সঙ্গে মেলে ভিটামিন, খনিজও। যে কোনও মরসুমি ফলই সন্তানকে খাওয়ানো যেতে পারে। শসা, তরমুজ, লেবু, আনারস, আম, লিচু— যে ফলটি সন্তান পছন্দ করবে সেটি খাওয়ানো যায়।

পেপসি বানিয়ে দিন: বাজারচলতি বরফের মতো জমানো পেপসি শিশুদের প্রিয়। তবে সেগুলি কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। বদলে বিভিন্ন ফলের রস দিয়ে বাড়িতেই রঙিন ‘পেপসি’ বানিয়ে দিন। পাতলা করে দই গুলে তার মধ্যে, চিনি, পাতিলেবু, নুন মিশিয়ে সাদা পেপসি তৈরি করতে পারেন। কাঠি আইসক্রিমের মতো জমিয়েও দিতে পারেন। এগুলি ছোটরা খেতে পছন্দ করবে।

স্যুপ: পছন্দের সব্জি দিয়ে বা মুরগির মাংস দিয়ে স্যুপ বানিয়ে দিতে পারেন। ছোটরাও সুস্বাদু খাবার চায়। তাই স্বাদের দিকটি খেয়াল রাখলে খাওয়াতে বেগ পেতে হবে না। ঠান্ডা বা গরম— যে কোনও স্যুপই শরীরে জলের জোগান দেয়।

ওআরএস: বমি বা আন্ত্রিক হলেও শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। এতেও জলের ঘাটতি হতে পারে। এমনটা হলে শিশুকে ওআরএস খাওয়ানো জরুরি। চিকিৎসকেরা বলছেন, ডায়েরিয়া বা ডিহাইড্রেশন হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ওআরএসই খাওয়া উচিত। শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিলে প্রয়োজনীয় লবণ ও শর্করা বেরিয়ে যেতে থাকে। সে কারণেই ওআরএস দরকার।

Hydration Tips Monsoon
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy