প্রখর গরম থেকে রেহাই পাওয়ার স্বস্তি, খিচুড়ি-ইলিশে খাওয়ার আনন্দ, মেঘলা দিনে জানলার দিকে তাকিয়ে বৃষ্টি উপভোগ করা— বর্ষার ভাল দিকগুলুর মধ্যে অন্যতম। তবে জলকাদা, জামাকাপড় শুকনো করার অসুবিধা, সংক্রমণ, সর্দি-কাশি অবশ্যই এই মরসুমের খারাপ দিক। তার উপর এই বর্ষায় ভিজে ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার জন্য কিছু ছত্রাকঘটিত রোগের চোখরাঙানিও বেড়ে যায়।
বর্ষা এলেই ছোট থেকে বড়— ছত্রাকঘটিত রোগের জ্বালায় সকলকেই কমবেশি ভুগতে হয়। কী ভাবে রেহাই পাবেন এই রোগের প্রকোপ থেকে? চিকিৎসকেরা বলেন, বর্ষার মরসুমে অন্যতম বড় সমস্যা হল বৃষ্টিতে জামাকাপড় ভিজে যাওয়া। সেই ভিজে জামা পড়েই অফিস, স্কুল-কলেজে দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়। এ কারণেই কিন্তু শরীরে ছত্রাকঘটিত রোগ হানা দেয়। এই সমস্যা এড়াতে এই মরসুমে ব্যাগে শুকনো জামা রাখুন। সঙ্গে এক সেট অতিরিক্ত মোজাও রাখলে ভাল। ভিজে বাড়িতে ফিরলেই গরম জল ও সাবান দিয়ে স্নান সারুন। মাথায় বৃষ্টির জল বসে গেলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা তো আছেই, সঙ্গে বৃষ্টির জল থেকে মাথার ত্বকেও ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন:
অন্তর্বাস থেকেও রোগ ছড়ায় এই মরসুমে। তাই ভেজা অন্তর্বাস খুব বেশি ক্ষণ পরে না থাকাই ভাল। জিমে শরীরচর্চার পর ঘাম বেশি হয়, সেই ঘামযুক্ত জামাকাপড়গুলি বাড়ি ফিরেই বদলে ফেলুন। খুব ভাল হয় জিম থেকে ফেরার পর ভাল করে এক বার স্নান করে নিলে।
বর্ষায় ছত্রাকের সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে আর কী কী মেনে চলবেন?
১) স্নানের পর ভাল করে গা মুছতে হবে। শরীরের ভাঁজে ভাঁজে জমে থাকা জল ভাল করে মুছে নিয়ে তবেই জামাকাপড় পড়ুন।
২) এই সময় জিন্স কিংবা খুব বেশি চাপা ট্রাউজার্স না পরাই ভাল। ছত্রাকের সংক্রমণ এড়াতে ঢিলেঢিলে ট্রাউজার্স এবং পোশাক পরুন।
৩) নিয়ম করে তোয়ালে কাচুন। দীর্ঘ দিন একই তোয়ালে ব্যবহার করলেও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
আরও পড়ুন:
৪) এক দিন অন্তর অন্তর অন্তর্বাস বদলে ফেলুন। নইলে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।
৫) ভিজে জুতো পারবেন না ভুলেও। জুতো ভিজে গেলে সেই জুতো সম্পূর্ণ না শুকিয়ে পরবেন না। বর্ষার সময় একাধিক জুতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরুন।