Advertisement
E-Paper

অপকার নয়, কিছু কিছু জীবাণু উপকারও করে, নতুন বছরে ওজনে লাগাম টানতে যত্নে রাখুন তাদের

মানুষের খাদ্যনালিতে থাকে কোটি কোটি উপকারী ব্যাক্টেরিয়া, ফাঙ্গাস, প্রটোজোয়া। গোটা বিষয়টিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘গাট মাইক্রোবায়োম’। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দরকার উপকারী জীবাণুও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:২৩
উপকারী জীবাণুর ভারসাম্য নষ্ট হলে হাজার চেষ্টা করলেও স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে না।

উপকারী জীবাণুর ভারসাম্য নষ্ট হলে হাজার চেষ্টা করলেও স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে না। ছবি: প্রতীকী

আমাদের শরীরে যেমন ক্ষতিকর জীবাণু আছে, আছে ভাল জীবাণুও। উপকারী জীবাণুদের সংখ্যা ও বৈচিত্র বাড়লে আমরা ভাল থাকি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পেটের গোলমাল কম হয়। সবচেয়ে বড় কথা, ওজন বশে থাকে। এখন অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে অনেকেই খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম বিধি-নিষেধ মেনে চলেন। কিন্তু অনেক সময়ে দেখা যায় হাজার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ওজন কমে না কিছুতেই। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, পেটের সেই উপকারী জীবাণুগুলির সংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হলে হাজার চেষ্টা করলেও স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে না।

আমাদের শরীরে যেমন ক্ষতিকর জীবাণু আছে, আছে ভাল জীবাণুও। উপকারী জীবাণুদের সংখ্যা ও বৈচিত্র বাড়লে আমরা ভাল থাকি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পেটের গোলমাল কম হয়। সবচেয়ে বড় কথা ওজন বশে থাকে। এখন অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে অনেকেই খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম বিধি-নিষেধ মেনে চলেন। কিন্তু অনেক সময়ে দেখা যায় হাজার নিয়ম মেনে চলা সত্ত্বেও ওজন কমে না কিছুতেই। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, পেটের সেই উপকারী জীবাণুগুলির সংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হলে হাজার চেষ্টা করলেও স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে না।

১। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত একটি কলেজের কয়েক জন চিকিৎসকের করা একটি সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, পেটে থাকা কিছু ‘ফিলমেন্টাস ব্যাক্টেরিয়া’ ধ্বংস হয় অতিরিক্ত চিনি খেলে। কাজেই অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া কমিয়ে ফেলুন। ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার বন্ধ করে খান ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার। অর্থাৎ চিনি, মিষ্টি, লুচি-পরোটা-চিপস-কাটলেট, প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। চিজ-ডিমের কুসুম-তেল-ঘি-মাখনে রাশ টানুন। তার বদলে খান শাক-সবজি-ফল, বাদাম, বিভিন্ন বীজ।

২। অন্ত্রে সরাসরি ভাল জীবাণুর জোগান দিতে টক দই খান নিয়ম করে। তা ছাড়াও ইয়োগার্ট, কেফির নামের এক ধরনের ঘোল, কম্বুচা নামের এক ধরনের গেঁজানো সবুজ পানীয় খেতে পারেন। ল্যাকটিক অ্যাসিডে গেঁজানো বাঁধাকপিও খান অনেকে। একে সটেক্র্যাট বলে। তবে সব খাবার তো সবার সহ্য হয় না, তাই যে কোনও খাবার রোজ খাওয়ার আগে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।

কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক খেলে অন্ত্রে ভাল-মন্দ সব জীবাণুই মরে দলে দলে।

কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক খেলে অন্ত্রে ভাল-মন্দ সব জীবাণুই মরে দলে দলে। ছবি: প্রতীকী

৩। ঘুমের অনিয়ম করবেন না। মাত্র দু’সপ্তাহ ঘুম অপর্যাপ্ত হলেই অন্ত্রে জীবাণুর ভারসাম্যে বড় রকমের পরিবর্তন আসতে পারে। তা ছাড়া অনিদ্রা শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে দেয়। বাড়িয়ে দেয় মানসিক চাপ, ডায়াবিটিস ও স্থূলতার ঝুঁকি।

৪। কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক খেলে অন্ত্রে ভাল-মন্দ সব জীবাণুই মরে দলে দলে। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই মুড়ি-মুড়কির মতোই এই ওষুধ খান। এতে অন্ত্রের উপকারী জীবাণুরও ক্ষতি হয়। প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। হজমের সমস্যাও প্রবল হয়ে ওঠে। ফলে ওজনের কমানো বা বাড়ানো, দুই ক্ষেত্রেই সমস্যা হতে পারে।

New Year Resolution Gut Health Weight Loss
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy