পুজোর চার দিন সকাল গড়িয়ে যায় প্যান্ডেল ঘুরে। দুপুরে রোদের তাপে ক্লান্তি জমতে থাকে, সন্ধ্যায় জমে আড্ডা আর রাতে নেমে আসে ভাজাভুজি আর হইহুল্লোড়ে। কিন্তু আনন্দের ঘোরে কয়েকটি দিন কেটে যাওয়ার পরই জানান দেয় শরীর। পুজোর হইহইয়ের ঠেলায় যার কথা প্রায়শই ভুলে যান অনেকে। রোদে পুড়ে, ক্লান্ত হয়ে, জল না খেয়ে উৎসবের আনন্দ কতটা নেওয়া যায়? আনন্দের পাশাপাশি শরীর আর মন, দুইয়ের যত্ন নিলে তবেই না উৎসব সফল! তাই এ বার পুজোয় শুধু সাজ নয়, সঙ্গে থাকুক চনমনে থাকার কৌশলও। পুষ্টিবিদ রেশমী রায়চৌধুরী তেমনই কয়েকটি পন্থার কথা বাতলে দিলেন সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয়।
পুজোয় সুস্থ থাকার ৫ টোটকা
১. বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য ঠাকুর দেখার, একাধিক প্যান্ডেল ভ্রমণের পরিকল্পনা রয়েছে? সঙ্গে অবশ্যই জলের বোতল রাখতে হবে। বড় বোতল হলে ভাল। তা হলে মাঝপথে জলের আকাল হবে না। কিন্তু সেই জলে মিশিয়ে নিতে হবে লেবুর রস। পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, নুন বা চিনি, কোনওটিই যোগ না করলে ভাল।
স্বাস্থ্যকর পানীয় থাক সঙ্গে। ছবি:সংগৃহীত।
২. গ্রিন টি-ও সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন। বাড়িতে যে ভাবে চা বানান, সে ভাবে বানিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে বোতলে ভরে নিয়ে যাওয়া যায়। তবে গ্রিন টি-র বোতলে কয়েকটি শশাকুচি এবং অল্প আদাবাটা বা আদাকুচি মিশিয়ে নিতে হবে। সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে চুমুক দিতে হবে। পুষ্টিবিদের কথায়, ‘‘এই ড্রিঙ্ক খেতে খেতে ঠাকুর দেখুন। দেখবেন, সারা দিন এনার্জি কী রকম থাকে! হজমও ভাল হবে, তা ছাড়া ওজনও কিন্তু এতে নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’’
৩. পুজোর এই কয়েকটি দিন শরীর ভাল রাখার জন্য বিশেষ পানীয় বানিয়ে সকালে পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদ। এক চামচ সাদা জিরে জলে ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে উঠে সেই জল অল্প একটু ফুটিয়ে ছেঁকে পান করুন। এতে বদহজমের সমস্যা কমবে।
৪. তা ছাড়া পেট ফাঁপা কমানোর জন্য একই ভাবে জলে সারারাত এক চামচ মৌরি ভিজিয়ে রাখতে পারেন। সকালে উঠে সেটিকে অল্প ফুটিয়ে নিন। তার পর জলটুকু ছেঁকে খেয়ে নিতে পারেন।
৫. আরও একটি পানীয় বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিলেন রেশমী। একই পদ্ধতিতে জোয়ান ভেজানো জল সকালে পান করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। সারা দিনের পেটপুজোর কোনও খারাপ প্রভাব পড়বে না।