শীতকাল এলে সকলের মধ্যেই যা ইচ্ছে খেয়ে ফেলার প্রবণতা বাড়ে। এক দিকে গু়ড়ের মিষ্টি, পিঠেপায়েস। অন্য দিকে হরেক রকমের কবাব, বিরিয়ানি, লুচি, কষা মাংস, বিভিন্ন ধরনের পরোটা— কী নেই। তবে গ্যাস-অম্বলের সমস্যার কারণেই লাগামছাড়া খাওয়াদাওয়া করতে পারেন না। তবুও শীতকালে গলা-বুক জ্বালার কষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না। তাই সামান্য চা-কফি খাওয়ার পরেও অভ্যাসবশত সামান্য একটু জোয়ান, কিংবা হজমি খেয়ে ফেলেন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, অম্বল, একের পর এক চোয়া ঢেকুর ওঠার নেপথ্যে শুধু তেলমশলা দেওয়া খাবার নয়, আরও কয়েকটি বিষয় দায়ী।
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকেরা বলছেন, ঠান্ডার হাত থেকে মুক্তি পেতে এই সময়ে চা, কফি, হট চকোলেটের মতো পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এই ধরনের পানীয়ে ক্যাফিনের পরিমাণ বেশি। তাই দেহের তাপমাত্রা খানিকটা বাড়িয়ে তুললেও শেষ পর্যন্ত ‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স’ রুখতে পারে না। তা ছাড়া কাজের চাপ, মানসিক চাপ, সময় ধরে খাবার না খাওয়ার ফলেও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া শীতকালে শরীরচর্চা করতে, বাইরে বেরোতেও আলস্য বোধ করেন অনেকে। সেই কারণেও খাবার হজম হতে সময় নেয়। চিকিৎসকেরা বলেন, শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব ঘটলেও পাকস্থলীতে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
কী করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন?
জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে পারলে ধীরে ধীরে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসে। তার সঙ্গে লাগাম রাখতে হয় মানসিক চাপের উপরেও। পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে গায়ে পর্যাপ্ত রোদ মাখারও প্রয়োজন রয়েছে। সারা দিন ধরে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পাশাপাশি, মৌরি, মেথি, জিরে ভেজানো জল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।