ডায়াবিটিস থাকলে খাওয়াদাওয়ায় চলে আসে নানা বিধি-নিষেধ। শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলেই রাশ টানতে হয় খাওয়াদাওয়ায়। ডায়াবেটিকরা অনেক কিছুই খেতে পারেন না। তবে ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে কী খাচ্ছেন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কখন খাচ্ছেন, সেটাও অত্যন্ত জরুরি। কারণ পেট খালি থাকলেই শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। রক্তে শর্করা কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সে নিয়ে যদি চিন্তা থাকে তা হলে একটি উপায় আছে। সুস্বাদু কিছু খেয়েও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। তার জন্য তিন রকম স্যুপ রান্নার পদ্ধতি রইল।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়াবিটিক রোগীর আদর্শ ডায়েটের ৫০ শতাংশ হবে ফল ও আনাজ। ২৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট। বাকি ২৫ শতাংশ প্রোটিন। প্রাণীজ প্রোটিনের মধ্যে মাছ, মুরগির মাংস ও ডিম খেতে পারেন। নিরামিষাশীরা পনির, সয়াবিন, ডালের উপর ভরসা রাখতে পারেন। ডায়াবিটিস থাকলে ডায়েটে টক দই রাখতেই হবে। সাধারণত এক জন ডায়াবিটিক রোগীর বয়স, ওজন, শরীরের গঠন, জীবনযাপনের ধরন, রক্তে শর্করার মাত্রা— এই সব বিষয়ের উপর নির্ভর করে তাঁরা সারা দিন কত ক্যালোরি খাবেন।
'জার্নাল অফ নিউট্রিশনাল সায়েন্স'-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, খাবারে যদি দানাশস্য, বিন্সের ভাগ বেশি থাকে, তা হলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই যদি এমন ভাবে স্যুপ রান্না করা যায় যাতে সব্জিও থাকবে, দানাশস্য থাকবে আবার সামান্য মশলাও থাকবে, তা হলে স্বাদের দিকেও বঞ্চিত হবেন না, আবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়েও চিন্তা থাকবে না।
কী ভাবে রাঁধবেন স্যুপ?
ডাল-পালং শাকের স্যুপ
মুগ বা মুসুর ডাল সেদ্ধ করে নিন। এ বার কড়াইতে অলিভ অয়েল গরম করে তাতে পেঁয়াজ, রসুন কুচি, গাজর কুচি, টম্যাটো কুচি দিয়ে হালকা করে নাড়তে হবে। প্রয়োজন মতো নুন, গোলমরিচ দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। সব্জি সেদ্ধ হলে তাতে ডালের জল, সেদ্ধ ডাল ও পালং শাক দিয়ে আবারও মিনিট দশেকের জন্য ঢেকে দিন। রান্না হয়ে এলে উপর থেকে লেবুর রস ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
আরও পড়ুন:
মাশরুম-বার্লির স্যুপ
কড়াইতে অলিব তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, পেঁয়াজ কুচি ও সামান্য রসুন কুচি দিয়ে নাড়ুন। সুগন্ধ বার হলে তাতে মাশরুমগুলো দিয়ে দিন। নুন, সামান্য হলুদ ও গোলমরিচ দিয়ে নেড়ে ঢেকে বসিয়ে দিন। মাশরুম সেদ্ধ হলে তাতে বার্লি মিশিয়ে অল্প জল দিয়ে ঢেকে দিন। নামানোর আগে গোলমরিচ, লেবুর রস দিয়ে নামিয়ে নিন।
বাঁধাকপি-গাজরের স্যুপ
অলিভ অয়েল গরম করে তাতে রসুন কুচি, তেজপাতা ফোড়ন দিন। এ বার কুচনো বাঁধাকপি, কুচিয়ে রাখা গাজর দিয়ে স্বাদমতো নুন, গোলমরিচ দিয়ে নাড়ুন। এ বার অল্প জল দিয়ে ঢেকে বসিয়ে দিন। মিনিট পনেরো পরে ঢাকা খুলে দেখে নিন সব্জি সেদ্ধ হয়েছে কি না। সেদ্ধ হলে উপরে গোলমরিচ, অরিগ্যানো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।