দুধ খেলে কি ওজন বাড়ে? ছবি:সংগৃহীত।
দুধ নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর খাবার। নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। কিন্তু এতে ফ্যাটও যথেষ্ট রয়েছে। সেই কারণে ওজন কমানোর সময়ে নিয়মিত দুধ খাওয়া ঠিক হবে কি না, সে বিষয়ে অনেকেই সন্দিহান হয়ে পড়েন। দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ক্যালোরি— দুই-ই যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এক কাপ দুধে ক্যালোরির পরিমাণ ১৫২। এবং ফ্যাট থাকে ৫ গ্রাম। তাই ক্যালোরি নিয়ে যাঁরা অত্যধিক মাত্রায় সচেতন, তাঁরা দুধ থেকে খানিক দূরেই থাকেন। ওজন কমার বদলে বেড়ে যেতে পারে বলেই তাঁদের ধারণা। এ প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মতে, ওজন কমানোর চেষ্টায় দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় কোনও খাবার বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। বরং দুধ আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ, দুধে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন।
শরীর ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তুলতে দুধের মতো উপকারী জিনিস কম রয়েছে। পেশিকে শক্তিশালী করতে দুধের ভূমিকা অসাধারণ। ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি-র মতো জরুরি পুষ্টিগুণও রয়েছে দুধে। হাড় শক্তিশালী করতে, রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে, শরীরের বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে দুধ। এক কাপ দুধে ৮ গ্রাম মতো প্রোটিন থাকে। তাই অল্প পরিমাণে দুধে প্রত্যেক দিন খেলে কোনও রকম ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
শরীরে ক্যালশিয়াম বেশি গেলে স্থূলতা, হৃদ্রোগ এবং টাইপ-টু ডায়াবিটিসের আশঙ্কাও কমায়। ওজন কমানোর পর্বে তো বটেই, প্রতি দিনের তালিকায় দুধ রাখা জরুরি। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এমনকি যাঁরা পিসিওডি, থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন, রোজের তালিকায় তাঁরাও দুধ রাখতে পারেন। যাঁরা ঋতুবন্ধের সময়ের কাছাকাছি চলে এসেছেন, তাঁদেরও নিয়ম করে দুধ খাওয়া প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy