কী ধরনের শরীরচর্চা করলে তা বিপাকহারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
এত দিন নানা অজুহাত দেখিয়ে শরীরচর্চা এড়িয়ে গিয়েছেন। কিন্তু বাতাসে ঠান্ডার আমেজ পড়তে না পড়তেই শরীরচর্চার ভূত মাথায় চেপেছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ব়ড় সমস্যা হল সময়। তাই নির্দিষ্ট সময়ে কারও তত্ত্বাবধানে নিয়মিত জিম বা যোগাসন করা সম্ভব নয়। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবেন না বলেই তেমন কোনও বাঁধাধরা জায়গায় ভর্তি হননি। জিমে গিয়ে যন্ত্র ব্যবহার করতেও মন চায় না। কারণ, ভারী ভারী যন্ত্র তুলতে গিয়ে যদি হিতে বিপরীত হয়, ফল ভাল হবে না। তবে নির্দিষ্ট ছন্দে হাঁটাহাঁটি অর্থাৎ জগিং, দৌড়ের অভ্যাস ছিল। তবে বয়স তো বাড়তি দিকে। তা হলে কি দৌড়নো উচিত হবে? কী ধরনের শরীরচর্চা করলে তা বিপাকহারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে?
১) প্রশিক্ষেকরা বলছেন, ক্যালোরি পোড়ানোর দিক থেকে চিন্তা করলে জগিং-এর চেয়ে রানিং অর্থাৎ দৌড়নোই ভাল। ফলে, ওজন ঝরানোর কাজটিও সহজ হয় এই ধরনের শরীরচর্চায়।
২) দৌড়লে হার্ট ভাল থাকে। হৃদ্স্পন্দনের হারও বেড়ে যায়। জগিং করা বা হাঁটার চেয়ে দৌড়নোর অভ্যাস কার্ডিয়োভাসকুলার ফিটনেসের উপর বেশি প্রভাব ফেলে।
৩) তবে, যাঁদের হাড়ের বা অস্থিসন্ধির সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্যে দৌড়ের চেয়ে হাঁটা বা জগিং করা অনেকাংশে নিরাপদ।
৪) সবে মাত্র শরীরচর্চা করতে শুরু করেছেন যাঁরা, তাঁদের কাছে দৌড়নোর মতো কাজ বেশ কঠিন মনে হতে পারে। বেশি বয়সে দৌড়নো ক্ষেত্রবিশেষে ঝুঁকিরও। তাই যে কোনও বয়সের ক্ষেত্রেই হাঁটা বা জগিং দিয়ে শুরু করা নিরাপদ।
৫) কম সময়ে দ্রুত মেদ ঝরাতে চাইলে দৌড়ের কোনও বিকল্প নেই। সে দিক থেকে দেখতে গেলে, হাঁটার চাইতে দৌড়নো ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy