মোবাইল ফোন ছাড়া থাকতে পারেন না? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই হাতে মুঠোফোন। ফেসবুক, হোয়াট্সঅ্যাপ, মেলবক্স— সবেতেই চোখ বুলিয়ে নেওয়া দরকার। দেশ-দুনিয়ার কোনও কিছুই যেন চোখ এড়িয়ে না যায়, তাই ছুটির দিনেও ফোনটিকে হাতছাড়া করতে পারেন না। ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার যে চোখের ক্ষতি করে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দীর্ঘ ক্ষণ ঘাড় গুঁজে ফোন দেখলে ঘাড়, পিঠের ব্যথা, মেরুদণ্ডের সমস্যাও হতে পারে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তা আরও ভয়ঙ্কর। ‘ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি’ জার্নালে প্রকাশিত তথ্য বলছে, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা ২০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার পুরুষদের বন্ধ্যত্বের অন্যতম কারণ।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জীবনযাপন এবং পরিবেশের পরিবর্তনের ফলে বিগত ৫০ বছর ধরে শুক্রাণুর মান ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। বিগত বছরগুলির তুলনায় মোবাইল ফোনের ব্যবহারও অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। এক গবেষক জানাচ্ছেন, পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যত্বের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্ভবত এই ধরনের যন্ত্র থেকে নির্গত রেডিয়োফ্রিকোয়েন্সি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড। যা প্রজননের উপর বিশেষ ভাবে প্রভাব ফেলে। জেনিভা বিশ্ববিদ্যালয়, সুইস ট্রপিক্যাল অ্যান্ড পাবলিক হেল্থ ইনস্টিটিউট প্রায় ৩ হাজার জন পুরুষের উপর এই সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা করেন। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রত্যেকেরই বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। প্রত্যেকের কাছে গবেষকেরা জানতে চেয়েছিলেন, তাঁদের মোবাইল ফোনের ব্যবহার কেমন এবং দেহের কোন অংশের সংস্পর্শে ফোনটি থাকে। অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া উত্তরের ভিত্তিতেই গবেষকেরা জানিয়েছেন, যাঁরা সারা দিনে ২০ বারের বেশি ফোন স্পর্শ করেন, তাঁদের মধ্যে ২১ শতাংশেরই শুক্রাণুর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy