তাঁর ফিটনেস নিয়ে চর্চা সর্বত্র। যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন মোহময়ী হয়ে উঠছেন অভিনেত্রী মলাইকা অরোরা। তাঁর ছিপছিপে কোমর ও চেহারার গড়ন বহু বলি অভিনেত্রীর কাছেই ঈর্ষণীয়। যে কোনও পোশাকেই আবেদনময়ী মলাইকা। তাঁর মতো নির্মেদ চেহারা চান অনেক মহিলাই। তা পাওয়াও খুব কঠিন কাজ নয়। যোগাসনের কিছু পদ্ধতিতেই তা সম্ভব। এমনই দুই যোগাসনের পদ্ধতিকে মিলিয়েছেন মলাইকা ও তাঁর ফিটনেস প্রশিক্ষক বংশিকা পাণ্ডে।
ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োতে মলাইকা ও বংশিকা দেখিয়েছেন, দু’ধরনের আসন একসঙ্গে করলে তাতে লাভ হবে বেশি। একটি শিবানন্দ যোগাসন ও অন্যটি বিন্যাস যোগাসন। বিন্যাস যোগের বৈশিষ্ট্য হল, এতে যেমন শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম হয়, তেমনই শরীরের প্রতিটি পেশির কসরত হয়। এই আসন করলে হজমশক্তি বাড়ে, ওজন কমে, মানসিক চাপও কমে যায়। মনঃসংযোগ দ্বিগুণ হয়। অন্যদিকে, শিবানন্দ যোগাসনে সারা শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। পেশি ও স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়ে, বিপাকক্রিয়ার হারও বাড়ে। দুই আসন পর পর করলে দ্রুত ওজন কমবে। একই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তিও বাড়বে।
আরও পড়ুন:
শিবানন্দ ও বিন্যাস আসন
শিবানন্দ আসনের ১২ রকম পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে যোগব্যায়াম, প্রাণায়ামও রয়েছে। বিন্যাস যোগের মধ্যে প্ল্যাঙ্ক, চতুরঙ্গ আসন, মার্জারাসন-সহ নানা রকম আসনের পদ্ধতি রয়েছে। মলাইকা যেগুলি করে দেখিয়েছেন তার মধ্যে সর্বাঙ্গাসন, অধোমুখ শবাসন, চতুরঙ্গ আসন করা যেতে পারে।
সর্বাঙ্গাসন
চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দু’টি জোড়া করে উপরে তুলুন। এ বার দু’হাতের তালু দিয়ে পিঠ এমন ভাবে ঠেলে ধরুন, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত এক সরলরেখায় থাকে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। দৃষ্টি থাকবে পায়ের আঙুলের দিকে। এর পর একটি পা ধীরে ধীরে নামিয়ে আনুন। অন্য পা উপরেই তোলা থাকবে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ৩০ সেকেন্ড গুনুন। তার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
আরও পড়ুন:
অধোমুখ শবাসন
অধোমুখ শবাসনকে বলা হয় ‘ডাউনওয়ার্ড-ফেসিং ডগ পোজ়’। প্রথমে হাত ও হাঁটুতে ভর করে হামাগুড়ি দেওয়ার মতো করে বসুন। এ বার কোমর ও পিঠ সোজা করে তুলুন। হাতের তালু মাটিতে থাকবে, পিঠ উপরের দিকে তুলতে হবে, পায়ের পাতা মাটি স্পর্শ করে থাকবে। দেখতে লাগবে অনেকটা ইংরেজি ‘ভি’ অক্ষরের মতো।
চতুরঙ্গ দণ্ডাসন
ম্যাটের উপরে উপুড় হয়ে শুয়ে দু’টি কনুইয়ের উপরে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে শরীরটি তুলতে হবে। পায়ের ভর থাকবে বুড়ো আঙুলের উপরে। শরীর থাকবে টানটান। দুই কনুই শরীরের পাশে ৯০ ডিগ্রি কোণে রাখুন, হাতের তালুগুলি মেঝে স্পর্শ করে থাকবে। এর পর শরীর ধীরে ধীরে নামাতে হবে, যাতে বুক মেঝে স্পর্শ করে। তার পর শরীর আবার আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে হবে।